কোষ বিভাজন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স টি দেওয়া হয়েছে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য।
কোষ চক্র
প্রশ্ন ১। কোষ চক্র বলতে কী বােঝায়? [ৱা, বাে, ‘১৬; চ. বাে, ‘২১; সি, বাে, ‘১৭]
উত্তর : কোষ বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রস্তুতিমূলক পর্যায় ও বিভাজন পর্যায়কে একত্রে কোষচক্র বলে। প্রস্তুতিমূলক পর্যায় ইন্টারফেজ নামে পরিচিত। বিভাজন পর্যায়ে প্রােফেজ, প্রাে-মেটাফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলােফেজ ধাপগুলাে ঘটে থাকে। কোষচক্রের মােট সময়ের মাত্র ৫-১০ ভাগ ব্যয় হয় বিভাজন পর্যায়ে, এবং ৯০-৯৫ ভাগ ব্যয় হয় ইন্টারফেজ বা বিরাম দশায় । কোষচক্র একটি জেনেটিক প্রােগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। হাওয়ার্ড এবং পেল্ক ১৯৫৩ সালে এই কোষ চক্র আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন ২। জীবের জীবনে কোষচক্র গুরুত্বপূর্ণ কেন? [ব, বাে, ‘২১]
উত্তর : আমরা জানি, ইন্টারফেজ দশা ও মাইটোটিক কোষ বিভাজন পর্যায়ক্রমিকভাবে কোষ চক্র সম্পন্ন করে। এই কোষচক্র জীবের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. কোষচক্র না হলে এককোষী বা বহুকোষী কোনাে জীবেরই বংশবৃদ্ধি হবে না ।
২. কোষচক্রের ইন্টারফেজ-এর প্রস্তুতির কারণেই মাইটোসিস হয় ।আর মাইটোসিস বহুকোষী জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায়। প্রজনন অঙ্গ তৈরি করে এবং ক্ষয়পূরণ করে।
৩. প্রতিটি জীবে স্বাভাবিক কোষচক্র ও জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পন্ন করে।
৪. অস্বাভাবিক অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত কোষচক্র জীবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত করে। এমনকি ক্যান্সার রােগ সৃষ্টি করে থাকে ।
প্রশ্ন ৩। ক্রোমাটিড বলতে কী বুঝ? [রা, বাে, ‘১৯]
উত্তর : কোষ বিভাজনের প্রােফেজ পর্যায়ের শেষে প্রতিটি ক্রোমােসােম সেন্ট্রোমিয়ার ব্যতীত লম্বালম্বি তন্তুর ন্যায় দু ভাবে বিভক্ত হয়।ক্রোমােসােমের এমন প্রতিটি তন্তুই হলাে ক্রোমাটিড ।
প্রশ্ন ৪। মাইটোসিস ও মায়ােসিস কোথায় ঘটে? [য, বাে, ‘১৫]
উত্তর : মাইটোসিস ঘটে উন্নত নিউক্লিয়াসযুক্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহকোষে। উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশ এ প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়। প্রাণীর স্নায়ুকোষ ব্যতীত সকল দেহকোষও এ প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে থাকে। অপরদিকে মায়ােসিস ঘটে নিম্নশ্রেণির জীবের জাইগােটে এবং উচ্চ শ্রেণির জীবের জনন মাতৃকোষে।
প্রশ্ন ৫। জীব জগতে কোষ চক্র গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : জীবজগতে কোষচক্র গুরুত্বপূর্ণ কারণ—
১. কোষচক্ৰ বহুকোষী জীবের প্রজনন, বৃদ্ধি, মৃতকোষ, প্রতিস্থাপন, ক্ষয়পূরণ ইত্যাদিতে সাহায্য করে।
২, কোষচক্রের ইন্টারফেজ দশা থাকায় কোষে বিভিন্ন বস্তুর সংশ্লেষ ও বৃদ্ধি সম্ভব হয়।
৩, সঠিক ও সুনিপুনভাবে নিয়ন্ত্রিত কোষচক্ৰ জীবের স্বাভাবিক ও সঠিক বৃদ্ধি ঘটায়।
অ্যামাইটোসিস
প্রশ্ন ৬। অ্যামাইটোসিসকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয় কেন?( কু, বাে, ‘২১)
উত্তর : অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয়। এ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম জটিল মাধ্যমিক পর্যায় ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, Amoeba, Yeast প্রভৃতিতে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন ঘটে থাকে ।
মাইটোসিস/সমীকরণিক বিভাজন
প্রশ্ন ৭। জীবের জন্য কোষ বিভাজন প্রয়ােজন কেন?
উত্তর : কোষ বিভাজন জীবের একটি মৌলিক ও অত্যাবশীয় প্রক্রিয়া ।জীবের দৈহিক বৃদ্ধি এবং বংশ বৃদ্ধির জন্য কোষ বিভাজন প্রয়ােজন ।কোষ বিভাজনের মাধ্যমে এককোষী জীব থেকে বহু সংখ্যক এককোষী জীব এবং বৃহৎ বৃক্ষ সৃষ্টি হয়। উপরােক্ত কারণে জীবের জন্য কোষ বিভাজন প্রয়ােজন।
মাইটোসিস বিভাজনের ধাপসমূহ
প্রশ্ন ৮। অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিসের কুফল লিখ । [য, বাে, ‘২১; ম, বাে, ‘২১]
উত্তর : আমরা জানি, মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি, চারটি থেকে আটটি, এভাবে কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত থাকে । কিন্তু কোনাে কারণে এই নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে গেলে অস্বাভাবিকভাবে কোষ বিভাজন চলতে থাকে। এর ফলে টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদি রােগের সৃষ্টি হয়। দেহে বিভিন্ন প্রকার প্যাপিলােমা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে ক্যান্সার রােগ সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসের E6 এবং E7 নামের দুটি জিন এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ সৃষ্টি করে। যা কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রক দুটি প্রােটিন অণুকে (যেমন- cdk ও p53) স্থানচ্যুত করে। এর ফলে কোষ বিভাজনের নিয়ন্ত্রণ, নষ্ট হয়ে যায়, ফলে টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদি রােগের সৃষ্টি হয় ।
প্রশ্ন ৯। সমীকরণিক কোষ বিভাজন বলতে কী বুঝ? [কু, বাে, ‘২১]
উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় প্রথমে নিউক্লিয়াস ও পরে সাইটোপ্লাজম মাত্র একবার বিভাজিত হয়ে , একটি মাতৃকোষ থেকে সমসংখ্যক ক্রোমােসােমবিশিষ্ট এবং সমগুণবিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। প্রতিটি অপত্য কোষ ও মাতৃকোষে ক্রোমােসােম সংখ্যা সমান থাকায় একে সমীকরণিক বিভাজন বলা হয়।
প্রশ্ন ১০। ক্রোমােজমীয় নৃত্য বলতে কী বােঝ?
উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রাে-মেটাফেজ পর্যায়ে, ক্রোমােসােমের সেন্ট্রোমিয়ার স্পিন্ডল যন্ত্রের একটি নির্দিষ্ট তন্তুর সাথে যুক্ত হয়। এ সময় ক্রোমােসােম একটু আন্দোলিত হয়, যাকে ক্রোমােসােমীয় নৃত্য বলে ।
প্রশ্ন ১১। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রােফেজ ধাপে ক্রোমােসােম খাটো ও মােটা হয় কেন?
উত্তর : মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রােফেজ ধাপে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয় কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান ক্রোমােসােমগুলাে থেকে পানি হ্রাসের ফলে ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে খাটো ও মােটা হয় ।
সাইটোকাইনেসিস
প্রশ্ন ১২। সাইটোকাইনেসিস বলতে কী বােঝায়? [ঢা, বাে, ‘২১; চ, বাে, ‘১৯]
উত্তর : নিউক্লিয়ার বিভাজনের পর সাইটোপ্লাজমের বিভাজন, ও পৃথকীকরণকে সাইটোকাইনেসিস বলে। টেলােফেজ-এর শেষে সাইটোকাইনেসিস শুরু হয়। কোষপ্লেট ও কোষপ্রাচীর গঠনের মাধ্যমে উদ্ভিদকোষে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে। সাইটোকাইনেসিস অপেক্ষাকৃত সরল পদ্ধতি এবং এটি সংঘটিত হতে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের প্রয়ােজন হয়।
প্রশ্ন ১৩। প্রাণিকোষে সাইটোকাইনেসিস কীভাবে ঘটে?
উত্তর : প্রাণিকোষে টেলােফেজ ধাপের শেষে স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অল বরাবর কোষঝিল্লিটি গর্তের ন্যায় ভেতরের দিকে ঢুকে যায়। এ গর্ত সব দিক হতে ক্রমান্বয়ে গভীরতর হয়। এভাবে গভীরতর হতে হতে মাঝখানে একত্রে মিলিত হয়। ফলে কোষটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।
মিয়ােসিস বা হ্রাসমূলক বিভাজন
প্রশ্ন ১৪। হ্রাসমূলক বিভাজন বলতে কী বুঝ? (রা. কে. ‘১৫)
উত্তর : মিয়ােসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বা বিয়ােজন বিভাজন বলা হয়। কারন এ বিভাজনের দ্বারা সৃষ্ট অপত্য কোষে ক্রোমােসােম সংখ্যা, মাতৃকোষের ক্রোমােসােম সংখ্যার অর্ধেক হয় । আর এ অর্ধেক হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটে দুবার কিন্তু ক্রোমােসােমের বিভাজন ঘটে একবার ।
জীববিজ্ঞান ২য় অধ্যায়ঃ কোষ বিভাজন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স
প্রশ্ন ১৫। প্রান্তীয়করণ ঘটে কেন?
মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের ডিপ্লোটিন উপপর্যায়ে ক্রোমোসােমের ক্রমাগত সংকোচনের ফলে, ক্রোমােসােমগুলাে আরও খাটো ও মােটা হয়। যার ফলে বাইভেলেটের ক্রোমােসােমদ্বয়ের মধ্যে পারস্পরিক বিকর্ষণ শুরু হয়। ধরনের বিকর্ষণের ফলে ক্রোমােসােমগুলাে বিপরীত দিকে সরে যেতে চেষ্টা করে কিন্তু কায়াজমটার স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ বিকর্ষণ একইসাথে কয়েক স্থানে হতে পারে। তবে সাধারণত সেন্ট্রোমিয়ারদ্বয়ের মধ্যেই ব্যাপক বিকর্ষণ শুরু হয়। এতে দুটি কায়াজমাটার মধ্যবর্তী অংশে লুপের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের লুপ সৃষ্টির কারণেই কায়াজমাটার প্রান্তীয়করণ ঘটে।
প্রশ্ন ১৬। মিয়ােসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন? (য: বাে, ‘১৯; চ, বাে, ‘১৭; দি, বাে, ‘২১)
উত্তর : মিয়ােসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস দুবার এবং ক্রোমােসােম একবার বিভক্ত হয়। ফলে অপত্য কোষের ক্রোমােসােম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমােসােম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। মিয়ােসিস কোষ বিভাজনে ক্রোমােসােম সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পায় বলে মিয়ােসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়।
প্রশ্ন ১৭। ইন্টারকাইনেসিস বলতে কী বুঝ? (চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম)
উত্তর : মিয়ােসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসের প্রথম ও দ্বিতীয় বিভক্তির মধ্যবর্তী সময়কে ইন্টারকাইনেসিস বলা হয়। এ সময় প্রয়ােজনীয় RNA, প্রােটিন সংশ্লেষিত হয়। তবে DNA এর প্রতিলিপি সৃষ্টি হয় না।
দ্বিতীয় মিয়ােটিক বিভাজন
প্রশ্ন ১৮। ক্রসিং ওভার ব্যাখ্যা কর। [রা, বাে, ‘২১; দি, বাে, ‘২১)
উত্তর : মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের প্রথম প্রােফেজে একজোড়া। হােমােলােগাস ক্রোমােসােমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে যে অংশের বিনিময় ঘটে তাকে ক্রসিং ওভার বলে । ক্রসিং ওভারের ফলে ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময়ের ফলে জিনের বিনিময় ঘটে। এতে জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরও পরিবর্তন ঘটে ফলে জীবজগতে জীবের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় ।
প্রশ্ন ১৯। ক্রসিং ওভার কেন ঘটে?
উত্তর : ক্রসিং ওভারের ফলে দুটি ক্রোমােটিডের অংশের বিনিময় ঘটে, ফলে জিনগত পরিবর্তন সাধিত হয়। জিনগত পরিবর্তন সাধনের ফলে সৃষ্ট জীবে বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন সাধিত হয়। বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টিকুলে আসে বৈচিত্র্য, সৃষ্টি হয় নতুন পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা, আবার কখনও সৃষ্টি হয় নতুন প্রজাতি। মূলত নতুন প্রকরণ সৃষ্টি ও জীবের অভিযােজনের জন্যই ক্রসিং ওভার সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন ২০। ক্রসিং ওভার কীভাবে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে? (কু, বাে, ‘১৫)
উত্তর : ক্রসিং ওভারে একজোড়া সমসংস্থ ক্রোমােসােমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময় ঘটে। আর ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময়ের অর্থই হলাে জিনের বিনিময়। এর ফলে নতুন ক্রমের সৃষ্টি হয়। এ জেনেটিক ভ্যারিয়েশনের ফলে নতুন বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ২১। কায়াজমা বলতে কী বােঝ? [দি. বাে, ‘১৫]
উত্তর : প্রথম মায়ােসিস বিভাজনের প্যাকাইটিন উপপর্যায়ের শেষের দিকে বাইভেলেন্টের যে কোনাে দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড সম্ভবত একই স্থানে ভেঙে গিয়ে পুনরায় একটির সাথে অন্যটির জোড়া লাগে । ফলে ঐ জোড়ার স্থানে একটি ইংরেজি ‘X’ আকৃতির অবস্থা সৃষ্টি হয় । দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের ‘X’ আকৃতির জোড়াস্থলকে বহুবচনে কায়জমাটা বলে, আর একবচনে কায়াজমা বলে ।
প্রশ্ন ২২। ক্রসিং ওভারের দুটি গুরুত্ব লিখ। [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
উত্তর : ক্রসিং ওভারের দুটি গুরুত্ব নিম্নরূপ-
১. ক্রসিং ওভারের ফলে দুটি ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে, ফলে জিনগত পরিবর্তন সাধিত হয় ।
২, ক্রসিং ওভারের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নত বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট নতুন প্রকরণ সৃষ্টি করা যায় ।
প্রশ্ন ২৩। ক্রসিং ওভার কীভাবে সংঘটিত হয়?
উত্তর : প্রথমে দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থান বরাবর ভেঙে যায়। পরে একটির এক অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে । ফলে কায়জমা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যায়ে প্রান্তীয়করণের মাধ্যমে ক্রোমাটিডের বিনিময় ঘটে। ফলে ক্রসিং ওভার সম্পন্ন হয়।
এই কোষ বিভাজন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স ছাড়াও আরো জানতে ক্লিকঃ