বই পড়া প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

বই পড়া প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

বই পড়া প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর এর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে। তাই এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করো এবং অনুশীলন অব্যাহত রাখো। তোমাদের জন্য শুভকামনা।

বই পড়া প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। ‘ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়’— ব্যাখ্যা কর।
উত্তর নিজে কর

প্রশ্ন ২। “মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না”বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর নিজে কর

প্রশ্ন ৩। আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই কেন? বুঝিয়ে লেখ। 
উত্তর নিজে কর

প্রশ্ন ৪। দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, আত্মার হয় না।’বুঝিয়ে লেখ। 
উত্তর নিজে কর

প্রশ্ন ৫। সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপূর্তির কাজে লাগে না কেন? 
উত্তর নিজে কর

প্রশ্ন ৬। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের উপরে স্থান দিয়েছেন কেন? 
উত্তর নিজে কর

প্রশ্ন ৭। ‘আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উল্টো। মানে কী?
উত্তর : আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উল্টো। – এর মানে হচ্ছে স্কুল-কলেজের প্রচলিত মুখস্থবিদ্যা মনুষ্যত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে প্রকৃত শিক্ষার বিপরীত। 

‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। মনের প্রসারতার জন্য, জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য, প্রকৃত শিক্ষা লাভ করে মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের স্কুলে-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতিতে সেই সুযোগ নেই। এখানে শিক্ষার সঙ্গে আনন্দের যোগ নেই, শিক্ষার্থীকে বই পড়ার জন্য লাইব্রেরিমুখী করার প্রবণতা নেই। এখানে কেবল পরীক্ষায় পাসের জন্য নোট মুখস্থ করানো হয়। ব্যাপারটা যেন অনেকটা শিশুকে জোর করে খাদ্য গেলানোর মতো অবস্থা। কেননা শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে পাঠটি পুরোপুরি না বুঝে কেবল পাঠ মুখস্থ করে। ফলে তাদের মানসিক বিকাশ এবং চিন্তাশক্তির পূর্ণ প্রকাশ লক্ষ করা যায় না। তাই এই শিক্ষা বই পড়ে প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার বিপরীত বা উলটো। 

প্রশ্ন ৮। প্রমথ চৌধুরী দিয়েছেন কেন? 

লাইব্ররিকে স্কুল কলেজের উপরে স্থান [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা। উত্তর : লাইব্রেরিতে মানুষ স্বেচ্ছায় ও স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায় বলে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন। 

‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় এবং প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে লাইব্রেরির অবদানের কথা বলেছেন। তিনি লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ মানুষ লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ে মনের অসুস্থতা দূর করতে পারে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে ব্যর্থ হয় । অথচ লাইব্রেরিতে বই পড়ার মাধ্যমে সেই শিক্ষা অর্জন করা যায়। প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার শিক্ষা। আর এই শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ হচ্ছে সাহিত্যচর্চা। এর জন্য লাইব্রেরির বিকল্প আর কিছুই নেই। মানুষ লাইব্রেরিতে গিয়ে খুব সহজেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই নির্বাচন করে পড়তে পারে। তাতে তার মনের বিকাশ সাধিত হয়। সেই সঙ্গে আনন্দ লাভের মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হয়। এসব কারণে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন। 

প্রশ্ন ৯। “লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয়।” প্রাবন্ধিক এ কথা কেন বলেছেন? 

উত্তর : লাইব্রেরিতে মনের শুশ্রুষা হয় বলে প্রাবন্ধিক “লাইব্ররির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয়” কথাটি বলেছেন। মানুষের শরীরের মতো মনও অসুস্থ হয়। তখন সেই অসুস্থতার 

জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষের অসুস্থতা দূর করা সম্ভব। বই মনের ক্ষুদ্রতা, জড়তা, নীচতা, হীনতা দূর করে। মনকে সজীব ও প্রাণময় করে তোলে। মনের অসুস্থতা দূর হয়। এসব কারণে মানুষ লাইব্রেরিতে গিয়ে খুব সহজে নিজের পছন্দমতো বই নির্বাচন করে পড়তে পারে। তাই প্রাবন্ধিক লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলে অভিহিত করেছেন। প্রশ্ন ১০। শিক্ষা আমাদের গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দুই-ই দূর করবে।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। [বি এ এফ শাহীন কলেজ, ঢাকা] উত্তর : “শিক্ষা আমাদের গায়েল জ্বালা ও চোখের জল, দুই-ই দূর করবে”- উক্তিটির মধ্য দিয়ে শিক্ষা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা প্রকাশ পেয়েছে। 

“আমাদের দেশ রোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশ। সুন্দর জীবনধারণ করা এখানে কঠিন। তাই এখানে শিক্ষাকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যত বেশি শিক্ষা তত বেশি উপার্জন। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ শেষে যদি যথাযথ উপার্জনের পথ সুগম হয়, তাহলে আর কোনো দুঃখ থাকবে না। আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত হলে আমরা ভাবি, আমাদের চোখের জল আর ঝরবে না। তাই আমাদের বিশ্বাস, শিক্ষা আমাদের গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দুই-ই দূর করবে 

প্রশ্ন ১১। সাহিত্যের রস উপভোগ করতে আমরা প্রস্তুত নই কেন?
উত্তর : সাহিত্যের ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না বলে আমরা সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই। 

সাহিত্য মানুষের সুকুমার বৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। মানুষকে বিকশিত করে তোলে। সাহিত্যের রস মানুষের আত্মাকে সজীব করে তোলে। কিন্তু আমরা যেকোনো পাঠের ফল সরাসরি প্রত্যাশা করি। আর এ কারণেই আমরা সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই। 

প্রশ্ন ১২। লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কীভাবে দেশের উপকার করা যায়? বুঝিয়ে লেখ। 

উত্তর : লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষকে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে দেশের উপকার করা যায়। 

প্রকৃত শিক্ষিত ও জ্ঞানী ব্যক্তির দ্বারাই দেশের কল্যাণ সাধিত হয়। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এজন্য মানুষকে লাইব্রেরির শরণাপন্ন হতে হয়। মানুষ লাইব্রেরি থেকে তার জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃত করতে পারে এবং নিজেকে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত করার সুযোগ পায়। আর দেশের এমন উপকার লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সম্ভব। 

প্রশ্ন ১৩। “সাহিত্যচর্চার জন্য চাই লাইব্রেরি।”- ব্যাখ্যা কর। উত্তর : বই পড়া অর্থাৎ সাহিত্যচর্চার জন্য লাইব্রেরি অপরিহার্য। বাস্তবতার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, বিভিন্ন ধরনের চর্চা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। যেমন— ধর্মের চর্চা মন্দির কিংবা মসজিদে, দর্শনের চর্চা গুহায়, নীতির চর্চা ঘরে এবং বিজ্ঞানের চর্চা জাদুঘরে। ঠিক তেমনই সাহিত্যের চর্চার জন্য লাইব্রেরির কোনো বিকল্প নেই। 

প্রশ্ন ১৪। লেখকের কাউকে শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে না চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : বই পড়া মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হওয়া সত্ত্বেও লেখক কাউকেই বই পড়তে পরামর্শ দিতে চাননি 

প্রথম কারণ, লেখকের সেই পরামর্শ কেউ গ্রাহ্য করবেন না এজন্য যে আমরা জাতি হিসেবে শৌখিন নই। আর দ্বিতীয় কারণ হলোরোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে যেখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনধারণই প্রধান সমস্যা সেখানে শখ করে বই পড়ার প্রস্তাব পাঠকের কাছে খুব নির্মম ঠেকবে। 

প্রশ্ন ১৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তা অপূর্ণাঙ্গ শিক্ষা। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ স্কুল-কলেজগুলোতে যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে তা অনেক ক্ষেত্রেই জ্ঞান বিকাশে সহায়ক নয়। শুধু পরীক্ষায় পাস করার দিকে শিক্ষার্থীদের নজর থাকে। শিক্ষকরাও পাসের লক্ষ্য নিয়েই তাদের শিক্ষা দেন। নোটসর্বস্ব বিদ্যা অর্জন করে উদরপূর্তির ব্যবস্থা হয়তো তাতে হয়, কিন্তু অপূর্ণ শিক্ষার কারণে আত্মবিকাশের সুযোগ হয় না। 

Read More:

Leave a Comment

You cannot copy content of this page

Scroll to Top