বিলাসী গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

বিলাসী গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

বিলাসী গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ বিলাসী এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।

বিলাসী গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

সাজেশন

আরো পড়ুনঃ

সর্বশেষ বোর্ডে আসা প্রশ্ন সাজেশন

প্রশ্ন ১। ‘বাস্তবিক যমরাজ চেষ্টার ত্রুটি কিছু করেন নাই।’ উক্তিটির ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : মৃত্যুর দুয়ার থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের ফিরে আসা বোঝাতে উল্লিখিত উক্তিটি করা হয়েছে।‘বিলাসী’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র পিতৃ-মাতৃহীন মৃত্যুঞ্জয় একসময় কঠিন অসুখে পড়ে। অনেকদিন পর্যন্ত শয্যাগত থেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

এমতাবস্থায় মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া এগিয়ে না এলেও মালোপাড়ার এক বুড়ো মালো তার চিকিৎসা করে এবং তার মেয়ে বিলাসী সেবা করে মৃত্যুঞ্জয়কে যমের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে। যমরাজের হাত থেকে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় মৃত্যুঞ্জয়, কিন্তু যমরাজ যে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি তার প্রমাণ মৃত্যুঞ্জয়কে দেখলেই বোঝা যায়। ন্যাড়া মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে এসে তার কঙ্কালসার শরীর দেখেই বুঝেছে যমরাজ বাস্তবিকই তাঁর চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি।

প্রশ্ন ২। ‘অ্যা এ হইল কী? কলি কি সত্যই উল্টাইতে বসিল?’- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কায়স্থের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়ের মেয়েকে বিয়ে করলে

এবং তার হাতে ভাত খেলে ছেলে-বুড়ো সবাই উল্লিখিত উক্তিটি

করে।

মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়লেও প্রতিবেশীরা তো

দূরের কথা, মৃত্যুঞ্জয়ের জ্ঞাতি খুড়াও কোনো খোঁজখবর নেননি।

মালোপাড়ার সাপুড়েকন্যা বিলাসী মৃত্যুঞ্জয়কে সেবা দিয়ে সুস্থ

করে তোলে । মৃত্যুঞ্জয় প্রেমের প্রতিদানে বিলাসীকে বিয়ে করে।

এর পর থেকে সমাজে এ নিয়ে কথা শুরু হয়। নিচু জাতের মেয়ে

বিলাসীকে বিয়ে করাকে তারা অন্যায় মনে করে। ফলে হিন্দু

পুরাণমতে কলি যুগে যে অন্যায়, অসত্য ও অধর্মের বাড়াবাড়ি

ঘটবে, এর প্রমাণ সম্মুখে দেখে ছেলে-বুড়ো সবার মুখেই এক

কথা— ‘অ্যা এ হইল কী? কলি কি সত্যই উল্টাইতে বসিল?’

প্রশ্ন ৩। “ভয় পাইবার আর সময় পাইলাম না।”- উক্তিটির

প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাল্যবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়কে দেখা শেষে বাড়ি ফেরার পথে

‘বিলাসী’ গল্পের কথক ন্যাড়া উদ্ধৃত উক্তিটি করেছে।

মৃত্যুঞ্জয় একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে একদিন সন্ধ্যার

অন্ধকারে ন্যাড়া মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে পোড়োবাড়িতে যায়। আম

বাগানের মধ্য দিয়ে অন্ধকার রাতে ফেরার পথে কিছুটা হলেও

ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু বিলাসীর সাহসের কথা মনে পড়তেই তার

ভয় দূর হয়ে গেল। কেবল ভাবতে থাকল, একটি মৃতপ্রায় রোগী

নিয়ে এমন স্থানে একা একটা মেয়ের রাত পাড়ি দেওয়া কত

কঠিন কাজ! মৃত্যুঞ্জয় তো যেকোনো মুহূর্তে মারা যেতে পারত।

তখন নিশ্চয়ই মেয়েটিকে মৃতদেহের পাশে বসে একাকীই রাত

কাটাতে হতো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাড়া বিলাসীর সাহসের উৎস

হিসেবে আবিষ্কার করল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি তার সীমাহীন

ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার জোরেই সে ভয়কে জয় করতে

পেরেছে। তাই নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে সে উক্তিটি করে।

প্রশ্ন ৪। “ওরে বাপরে! আমি একলা থাকতে পারব না।”-

তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ‘বিলাসী’ গল্পে ন্যাড়ার এক আত্মীয়ার স্বামীভক্তি সম্পর্কে

আলোকপাত করতে গিয়ে উক্তিটি করা হয়েছে।

‘বিলাসী’ গল্পের কথক ন্যাড়া তার এক আত্মীয়ের মৃত্যুকালে

সেখানে উপস্থিত ছিল। স্ত্রী তার স্বামীর শোকে পাগলের মতো

কান্নাকাটি করতে শুরু করল, এমনকি স্বামীর সঙ্গে সহমরণে

যেতে ন্যাড়াকে কাকুতি-মিনতি জানাল। কিন্তু ন্যাড়াকে তো আর

বসে বসে কান্না শুনলে চলবে না, বাইরে গিয়ে মানুষ জোগাড়

করে মৃতদেহের সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই সে বাইরে

যাওয়ার প্রস্তাব করে। কিন্তু তার বাইরে যাওয়ার কথা

শোনামাত্রই মহিলা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায় এবং ভয়ার্ত ও শঙ্কিত

কণ্ঠে বলে, “ওরে বাপরে! আমি একলা থাকতে পারব না।”

প্রশ্ন ৫। ‘বাঙালির বিষ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : ‘বাঙালির বিষ’ বলতে বাঙালির ক্ষণস্থায়ী ক্রোধ বা

বিদ্বেষকে বোঝানো হয়েছে।

বাঙালির রাগ আছে, হিংসা-বিদ্বেষ আছে। কিন্তু তা কখনো

দিনের পর দিন বা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে না। মনের মধ্যে

প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত তা পুষে রাখে না। রাগ বা হিংসার

বশে কারও কোনো ক্ষতি বা খুনখারাবিও করে না। বাকবিতণ্ডা

বা অকথ্য গালাগালের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ এবং ক্ষণস্থায়ী।

সাপের বিষ যেমন অব্যর্থভাবে কার্যকর অর্থাৎ কামড় দেওয়ার

সঙ্গে সঙ্গেই তা মৃত্যুর ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়, বাঙালির কথার বিষ

এমন অব্যর্থভাবে কার্যকর নয়।

১০৭

প্রশ্ন ৬। ‘কোথায় আমার মধ্যে একটুখানি দুর্বলতা ছিল’-

ব্যাখ্যা কর?

উত্তর : বিলাসী ও মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি ন্যাড়ার একটু দুর্বলতা ছিল—

প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে এ কথাই বোঝানো হয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীকে বিয়ে করলে মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া অন্নপাপের

শাস্তি দিতে গ্রামের লোকদের নিয়ে তার বাসায় হাজির হন।

গল্পকথক ন্যাড়াও তাদের সঙ্গে ছিল। খুড়ার নির্দেশে তারা

বিলাসীকে টেনেহিঁচড়ে গ্রামের বাইরে নিয়ে যেতে থাকে।

নানাভাবে তারা বিলাসীকে অত্যাচার করতে থাকলেও ন্যাড়া

বিলাসীর গায়ে হাত দিতে পারেনি। বরং বিলাসীকে অত্যাচারিত

হতে দেখে তার কান্না পায়। কারণ মনে মনে সে তাদের প্রতি

ছিল দুর্বল।

প্রশ্ন ৭। সে তাহার নামজাদা শ্বশুরের শিষ্য— কার কথা বলা

হয়েছে?

উত্তর : সে তাহার নামজাদা শ্বশুরের শিষ্য— এখানে মৃত্যুঞ্জয়ের

কথা বলা হয়েছে।

গল্পকথক ন্যাড়ার ছেলেবেলা থেকেই শখ ছিল গোখরা সাপ ধরে

পোষা আর মন্ত্র সিদ্ধ হওয়া। তার বন্ধু মৃত্যুঞ্জয় সাপুড়েকন্যা

বিলাসীকে বিয়ে করে সাপুড়ে পেশা গ্রহণ করেছে। তার শ্বশুর

অর্থাৎ বিলাসীর পিতা একজন সাপুড়ে সর্দার। মৃত্যুঞ্জয় তারই

শিষ্য। তাই ন্যাড়া মৃত্যুঞ্জয়কে ওস্তাদ হিসেবে পেতে চায়। তাই

সে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ভাবে মৃত্যুঞ্জয় তার নামকরা শ্বশুরের

শিষ্য। সে একজন মস্ত বড় মানুষ ।

প্রশ্ন ৮। কোন কাজ বিলাসী ভয়ানক আপত্তি করত? ব্যাখ্যা

কর।

উত্তর : লোক ঠকানো ব্যবসায়কে বিলাসী ভয়ানক আপত্তি

করত।

সাপুড়েদের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসায় হলো শিকড় বিক্রয়

করা। কিন্তু বিলাসী জানে এগুলোতে কোনো কাজ হয় না। এ

জন্য সাপুড়রো মিথ্যাচার করে। তারা লোহার শিক পূর্বে পুড়িয়ে

সাপকে বার কয়েক ছ্যাকা দেয়। পরে তার সামনে শিকড় তুলে

ধরলে সাপ মনে করে এটা সেই লোহার শিক তখন সে পালাতে

চায়। তাই বিলাসী চায় না মৃত্যুঞ্জয় ও ন্যাড়া এ লোক ঠকানোর

কাজ করে অর্থ উপার্জন করুক।

প্রশ্ন ৯। আমার মন্ত্র পড়ার আর বিরাম নাই— ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মৃত্যুঞ্জয়কে সাপে কামড়ালে ন্যাড়া অবিরাম মন্ত্র পড়তে

থাকে— উক্তিটির মধ্য দিয়ে এ কথাই প্রকাশ পেয়েছে।

সাপ ধরতে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে সাপে দংশন করে। তখন বিলাসী

ও ন্যাড়া যে যার মতো মৃত্যুঞ্জয়ের চিকিৎসা করতে লাগল। ন্যাড়া

রারবার ‘বিষহরির আজ্ঞা’ মন্ত্রটা পড়তে থাকে। সে একমুহূর্তের

জন্য মন্ত্র পড়া থামায় না। সে বুঝতে পারছিল এতে বিশেষ কোনো

কাজ হচ্ছিল না তবুও তার মন্ত্র পড়ায় বিরাম ছিল না।

সময়—২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

১৮ মানুষ মানুষের জন্য

জীবন জীবনের জন্য

একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না

[ ৭টি প্রশ্নের উত্তর দাও।

ও বন্ধু….

ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

খ.

গ.

‘বুক যদি কিছুতে ফাটে তো সে এই মৃত স্বামীর কাছে একলা ২

থাকিলে।’— বিষয়টি বুঝিয়ে বল।

উদ্দীপকের ভাবের

রয়েছে? নির্ণয় কর।

সঙ্গে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন দিকটির সাদৃশ্য

C

ঘ.

“উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের আংশিক ভাবের প্রতিনিধিত্বকারী।”

মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

২৯ কেউ মালা, কেউ তবি গলায়,/তাইতে কী জাত ভিন্ন বলায়,

যাওয়া কিংবা আসার বেলায়/জেতের চিহ্ন রয় কার রে ॥

ক. কামাখ্যা কিসের জন্য বিখ্যাত?

গ.

ঘ.

খ. “স্বদেশের মঙ্গলের জন্য সমস্ত অকাতরে সহ্য করিয়া তাহাকে হিড়হিড়

করিয়া টানিয়া লইয়া চলিলাম।”- ব্যাখ্যা কর।

ঘ.

গ. উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের কোন দিকটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

“উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের আংশিক ভাবের প্রতিনিধিত্ব করে।”-

মন্তব্যটি বিশ্লেষণ।

8

৩)। এই কান্নাকাটিতে

অধর অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন। ছোঁড়াটা মড়া ছুঁইয়া আসিয়াছে, কি জানি

এখানকার কিছু ছুঁইয়া ফেলিল নাকি! ধমক দিয়া বলিলেন, মা মরেচে ত যা নীচে নেমে

দাঁড়া। ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে! কি জাতের ছেলে তুই?

কাঙ্গালী সভয়ে প্রাঙ্গণে নামিয়া দাঁড়াইয়া কহিল, আমরা দুলে।

অধর কহিলেন, দুলে! দুলের মড়ার কাঠ কি হবে শুনি?

আমগাছে সমস্ত বাগানটা কিরূপ বোধ হচ্ছিল?

ক.

বড় বড়

খ.

“আমার মাথার দিব্যি রইল, এসব তুমি আর কখনো করো না।”- এ

উক্তিটির কারণ ব্যাখ্যা কর।

উদ্দীপকে অধর রায় ‘বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?

উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করে”- তোমার

উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও ।

8

৪। বংশে বংশে নাহিকো তফাত

বনেদি কে আর গর-বনেদি,

দুনিয়ার সাথে গাঁথা বুনিয়াদ

দুনিয়া সবারি জনম-বেদি।

ক. খুড়ার কাজ কী ছিল?

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের সাপুড়ে বৃত্তি গ্রহণের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।

উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের বিপর

দিক প্রকাশ করে? ৩

ঘ. উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের মূলভাবের তাৎপর্য বহন করে – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

৫। মুখে দেয় জল, শুধায় কুশল, শিরে দেয় মোর হাত,

দাঁড়ায়ে নিঝুম, চোখে নাই ঘুম, মুখে নাই তার ভাত।

বলে বার বার, ‘কর্তা, তোমার কোনো ভয় নাই, শুন

যাবে দেশে ফিরে, মাঠাকুরানীরে দেখিতে পাইবে পুন।’

লভিয়া আরাম আমি উঠিলাম, তাহারে ধরিল জ্বরে;

নিল সে আমার কালব্যাধিভার আপনার দেহ-‘পরে।

ক. কামাখ্যা কী?

খ. মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীর জন্য জাত বিসর্জন দিয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ.

গ. উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের মিল পাওয়া যায়? নির্ণয় কর। ৩

উদ্দীপকের পরিণতি যেদিকে মোড় নিয়েছে, গল্পের পরিণতি সেদিকে

মোড় নেয়নি – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৬) এসো হে আৰ্য, এসো অনার্য, হিন্দু মুসলমান-

এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খৃস্টান।

এসো ব্রাহ্মণ, শুচি করি মন ধরো হাত সবাকার।

এসো হে পতিত, হোক অপনীত সব অপমানভার ।

মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা, মঙ্গল ঘট হয় নি যে ভরা

সবার পরশে পবিত্র করা তীর্থনীরে-

আজি ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।

ক. ‘ফলাহার’ শব্দটির অর্থ কী?

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের কাকার মতে গ্রামের মুখ কেন পুড়ল?

ঘ.

গ. উদ্দীপকের কবিতার কোন ভাবটি “বিলাসী’ গল্পে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা কর। ৩

উদ্দীপকের কবিতার যে মানবিক আবেদন সেটি ‘বিলাসী’ গল্পের কথক ন্যাড়ার

মাঝে থাকলেও সমাজব্যবস্থার চাপে তা প্রস্ফুটিত হয়নি— সত্যতা নিরূপণ কর। ৪

8

তিটি প্রশ্নের মান ১০ |

Jo

⇒ রিপন কায়স্থের ছেলে। তার বাপ-মা বেঁচে নেই। গ্রামের আট-দশটা ছেলের

মতো সেও লেখাপড়া করে। কিন্তু ছাত্র হিসেবে ভালো নয়। পাড়ার এক

সাপুড়ের মেয়ের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু গ্রামের

রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ কিছুতেই এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। নানাবিধ কুৎসা রটনা

করে রিপনকেসহ মালো পরিবারকে নির্যাতন করে গ্রামছাড়া করে। গ্রাম ছেড়ে

রিপন সাপুড়ের মেয়েকে বিয়ে করে সাপুড়ে হয়ে যায়। তারপর থেকে সাপ ধরে

এবং তাবিজ-কবচ বিক্রি করে রিপন তার স্ত্রীকে নিয়ে জীবনযাপন করতে থাকে।

ক. মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে মারা যায়?

খ.

গ.

S

বিলাসী কেন আত্মহত্যা করে? কারণ ব্যাখ্যা কর।

8

উদ্দীপকের রিপনের সাপুড়ে হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ‘বিলাসী’ গল্পের

কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের রিপন চরিত্রটি ‘বিলাসী’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের

প্রতিচ্ছবি।”— উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

৮। তামিম উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যায়। লেখাপড়া শেষে বাবা-মায়ের মতামত না নিয়ে

এক বিদেশিনীকে বিয়ে করে। প্রথমে বাবা-মায়ের আপত্তি থাকলেও পরে সহজভাবে

তারা মেনে নেন। তামিম স্ত্রী সুজানাকে দেশে নিয়ে আসে। মেয়েটি সহজ-সরল এবং

অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির। সে সবাইকে সহজে আপন করে নেয়। একদিন তামিম অসুখে

পড়ে। সুজানার দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম ও সেবায় তামিম সুস্থ হয়ে ওঠে। নিজের

দেশ, আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে প্রেমের টানে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে আসা

ভিনদেশি বধূটিকে শ্বশুর-শাশুড়ি, পাড়া-প্রতিবেশী সকলে আপন করে নেয়।

খ.

ক. কে সেবা করে মৃত্যুঞ্জয়কে যমের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিল?

“আমি আজও লজ্জায় মরিয়া যাই।” – কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সুজানা ও গল্পের বিলাসী চরিত্রের সাদৃশ্য নিরূপণ কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রতিফলন

ঘটেছে।— উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।

8

৯º এই নিতান্ত নিঃসঙ্গ প্রবাসে ঘনবর্ষায় রোগকাতর শরীরে একটুখানি সেবা

পাইতে ইচ্ছা করে। তপ্ত ললাটের উপর শাঁখাপরা কোমল হস্তের স্পর্শ মনে

পড়ে। এই ঘোর প্রবাসে রোগযন্ত্রণায় স্নেহময়ী নারী-রূপে জননী ও দিদি পাশে

বসিয়া আছেন এই কথা মনে করিতে ইচ্ছা করে, এবং এ স্থলে প্রবাসীর মনে

অভিলাষ ব্যর্থ হইল না। বালিকা রতন আর বালিকা রহিল না। সেই মুহূর্তেই

সে জননীর পদ অধিকার করিয়া বসিল, বৈদ্য ডাকিয়া আনিল, যথাসময়ে বটিকা

খাওয়াইল, সারারাত্রি শিয়রে জাগিয়া রহিল, আপনি পথ্য রাঁধিয়া দিল এবং শতবার

করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “হাঁগো দাদাবাবু, একটুখানি ভালো বোধ হচ্ছে কি।”

ক. মৃত্যুঞ্জয়ের জাত বিসর্জনে খুড়া কোন কোন সমাজের ভয়ে ভীত?

খ. “অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।”-

ব্যাখ্যা কর।

গ.

উদ্দীপকের রতন ‘বিলাসী’ গল্পের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ঘ. “উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের মূলভাব অনুপস্থিত।”- তোমার উত্তরের

পক্ষে যুক্তি দেখাও।

8

১০৯ ক্যাংক্রাম অরিস! মুখের আধখানা পচে গেছে। ডানদিকের গালটা নেই।

দাঁতগুলো বীভৎসভাবে বেরিয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে কাছে দাঁড়ানো যায় না। দূর

থেকে পিঠে করে বয়ে এনে এ রোগীর চিকিৎসা চলে না। আমার ইনডোরেও

জায়গা নেই তখন। অগত্যা হাসপাতালের বারান্দাতেই থাকতে বললাম

বারান্দাতেও কিন্তু রাখা গেল না শেষ পর্যন্ত। ভীষণ দুর্গন্ধ। অন্যান্য রোগী

আপত্তি করতে লাগল। কম্পাউন্ডার, ড্রেসর, এমনকি মেথর পর্যন্ত কাছে যেতে

রাজি হলো না। বৃদ্ধ কিন্তু নির্বিকার। দিবারাত্র সেবা করে চলেছে।

ক. মৃত্যুঞ্জয় কোথায় শুয়ে ছিল?

খ.

মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি খুড়োর বৈরী মনোভাবের কারণ কী?

গ. উদ্দীপকে ‘বিলাসী’ গল্পের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে?

ঘ. উদ্দীপকের বৃদ্ধ ‘বিলাসী’ গল্পের বিলাসী চরিত্রের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি

নয়। তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

8

১১ গাহি সাম্যের গান-

2

O

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান

নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,

সব দেশে সব কালে ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

ক. বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পীর নাম কী?

খ. “আমরা বলি, যাহারই গায়ে জোর নাই, তাহারই গায়ে হাত তুলিতে 2

পারা যায়।”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের কোন বিষয়টির সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. বিষয়গত বৈসাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি ‘বিলাসী’ গল্পের লেখকের

মানস চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে।- মন্তব্যটি বিশ্লেণ কর

এই বিলাসী গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন

You cannot copy content of this page

Scroll to Top