মোবাইলে টাকা আয় ২০২৪। Money from online by Mobile 2024 : আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কিংবা আয় করতে চান ? তাহলে ফলো করুন এই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম এর এই লেখার সম্পূর্ণ অংশ । এখানে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় কীভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করবেন তা আলোচনা করা হয়েছে। তাই উল্লেখ্য যে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে এই পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করার একাধিক উপায় আছে। এর জন্য শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তবেই এখনি আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আর্নিং করার উপায় সমূহ নিম্নরূপঃ-
- ব্লগিং করে
- ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে ইনকাম
- ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা আয়
- ইন্সটাগ্রাম থেকে
- মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে
- টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে
- মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্সিং করে
- ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে
মোবাইলে টাকা আয় ২০২৪ । Money from online by Mobile 2024
মোবাইলে টাকা আয় ২০২৪ । Money from online by Mobile 2024
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বহু কিছু ব্যবহার করতে সক্ষম হবে । ভিডিও রেকর্ডিং থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট আপলোডসহ প্রায় কম্পিউটারের মত ব্যবহার উপযোগী করে এটি তৈরি । মোবাইল দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে তা আপলোড অবধি পোছানো এখন মোবাইলেই সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে এডসেন্স প্রোগ্রাম চালু করে প্রচুর পরিমাণের আয় করা সম্ভব হবে ।
একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন । এক পর্যায়ে যদি আপনার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার এবং ফেসবুকের পেইজের ফলোয়ার অনেক বেশি সংখ্যক হয়, তাহলে আপনি স্পন্সরড ভিডিও তৈরি করেও টাকা ইনকাম করতে শুরু করবেন ।
আরো পড়ুন
ব্লগিং এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
প্রতিনিয়ত অনলাইনে ইনকামের চাহিদা বেডেই চলছে । এছাড়া ইন্টারনেটে লেখার চাহিদাটা অনেক। সে ধারাবাহিকতায় আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অনায়াসে চালু করতে পারেন একটি ব্লগও। ব্লগিং শুরু করে গুগল ইনকাম সার্ভিস এডসেন্স অনুমোদন হলেই শুরু হয়ে যাবে আপনার ইনকাম শুরু হবে ।
এই ব্লগিং বা আর্টিকেল লেখা শুরু করতে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার বা ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এরপর সেই সাইটকে সুন্দর করে সেপআপ করে নিতে হবে। এরপর ধীরস্থির ভাবে কপিরাইট মুক্ত অর্থাৎ ইউনিক পোস্ট করুন।তাই প্রতিদিন মানসম্মত, তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখুন। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।
গুগল এডসেন্স অনুমোদন বা এপ্রুভ হয়ে গেলে গুগল কর্তৃক আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে। এতে আপনাকে গুগল কিছু পরিমাণ অর্থ আপনাকে প্রদান করবে যার পরিমাণ গুগল মোট বিজ্ঞাপনের মূল্যের ৬৮% দিবে । এছাড়াও ব্লগে স্পন্সরড এবং অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমেও উপার্জন করার সুযোগ আছে ।
বিঃদ্রঃ মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে হলে প্রথমে কিছু অর্থ খরচ হবে । এই মুহুর্তে আপনি যদি এই অর্থ খরচ ব্যর্থ হন, তাহলে অন্যের ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে সমর্থ হবেন ।
ইউটিউবিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
এখন আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? আপনি হয়ত ভাবছেন যে, ইউটিউব ভিডিও বানাবেন কি ভাবে? বর্তমানে ইউটিউবে প্রায় সকল ধরনের ভিডিও এর চাহিদা এবং ভিউয়ার অনেক বেশি হয়ে থাকে । আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট সে বিষয় নিয়ে ক্রমাগত ভিডিও তৈরি করতে থাকুন একদম প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করুন । একসময় দেখবেন আপনার ভিডিও থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে এবং আপনার ইচ্ছা পূরন হচ্ছে ।
এই গুগল এডসেন্স সংযুক্ত করার মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে টাকা আয় করতে পারবেন, গুগলের এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ এর যোগ্য হতে যা যা প্রয়োজন তা নিন্মে দেওয়া হলঃ
- সর্বশেষ ৩৬৫ দিনে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে
- আপনার চ্যানেলে মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগবে ।
উপরোল্লিখিত দুটি শর্ত পূরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব হতে আপনার ইনকাম শুরু হবে । এছাড়াও আপনার এই ইউটিউব চ্যানেল হতে আরো দুটি পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে । যেমন- আপনার চ্যানেল কিছুটা ভাইরাল বা বড় হলে বিভিন্ন কোম্পানী স্পন্সর করতে তাদের প্রোডাক্টস এবং সার্ভিসসমূহ এতেও আপনার অনেক ইনকাম হবে । তাছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণের কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করাও সম্ভব হবে ।
মোবাইলে টাকা আয় ২০২৪ । Money from online by Mobile 2024
ফেইসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
এখন ফেইসবুক ই-কমার্স দ্বারা আয় করতে হলে প্রথমে জানতে ফেসবুক ই-কমার্স কি? এই ফেইসবুক ই-কমার্স হলো- অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং ব্যবসা পরিচালনা করাকে ফেইসবুক ই-কমার্স বলা হয়। আরো একটু পরিষ্কার করি- কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্ত আপনি এই ফেইসবুক ই-কমার্স এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এই পণ্য বিক্রয়ের যে সুবিধাটি ফেইসবুক এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় সেটিই মুলত ফেসবুক ই-কমার্স। বর্তমানে অগণিত ফেইসবুকের ব্যবহারকারী। প্রত্যেক ইউজার হয়ে যেতে পারে আপনার পণ্যের ক্রেতা কিংবা ক্লায়েন্ট।
এখানে ফেইসবুক ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার প্রথমে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে শুধুমাত্র প্রোডক্ট ক্রয়ের জন্য। তারপর উক্ত পণ্যগুলো ফেইসবুক ই-কমার্স ক্যাটালগে যুক্ত করে দিতে। নেক্সটে আপনার কাজ হচ্ছে যে সকল স্থান হতে আপনার বিক্রয় হবে বলে আপনি মনে করেন সেই গ্রুপ/পেজ/প্রোফাইলে শেয়ার করুন। আপনার পণ্য মানসম্মত আর সবার পছন্দের জিনিস হলে বিক্রি হতে তেমন সময় লাগবে না।
ফেইসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেইসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা ইনকাম করতে হলে আপনাকে যে বিষয় জানতে হবে তা হচ্ছে ফেইসবুক মনিটাইজেশন কি? ফেইসবুকে নির্ধারিত কিছু শর্তাদি পূরণ করে টাকা ইনকামের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে ফেইসবুকের পার্টনারশিপের আওতাভুক্ত হওয়ার নামই হচ্ছে ফেইসবুক মনিটাইজেশন।
এখানে জানা যে কোন নিজের তৈরি করা ভিডিও সবার সাথে শেয়ারের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ফেইসবুক পেজ মনিটাইজেশন পেতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা নিম্নরূপঃ
- সর্বশেষ ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট (ওয়াচ টাইম) লাগবে
- সর্বনিম্ন ৫টি সক্রিয়/একটিভ ফেসবুক ভিডিও থাকতে হ্নে
- পেজ ফলোয়ার থাকতে হবে ১০ হাজার প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও আপনি আপনার ইউটিউব এর জন্য যে ভিডিও তৈরি করবেন সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড দিতে পারবেন। ফলে আপনার কষ্ট কম হলো আর দুটি প্লাটফর্মে ইনকাম শুরু হলো।
ফেইসবুক থেকে ইনকাম এর অনেক মডেল রয়েছে- যেমনঃ ইন-স্ট্রিম এড, ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। বর্তমানে ইউটিউবের তাল মিলিয়ে ফেইসবুকেও ভিডিও অনেক বেশি শেয়ার এবং ভাইরাল হচ্ছে, সুতরাং ফেইসবুক তুলনামূলক সহজ হবে এখান থেকে আয় করা।
মোবাইলে টাকা আয় ২০২৪ । Money from online by Mobile 2024
ইন্সটাগ্রাম হতে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
এখন ইন্সটাগ্রাম কেবলমাত্র ছবি অথবা ভিডিও শেয়ারি স্যোসাল মিডিয়া নয়। ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার এখন অনলাইন ইনকাম করাও সম্ভব হবে। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি সুন্দর, গোছানো, প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি ক্রুন। এছাড়াও আরো যা যা প্রয়োজন হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো-
- একটি আকর্ষণীয় ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল তৈরী করুন
- প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সুন্দর আঙ্গিকে পোস্ট করুন
- সবসময় আপনার পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন
- আপনার প্রোফাইল যে বিষয়ের উপর সাজিয়েছেন ঠিক সে রকম প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক অথবা ফলো করুন।
- ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন (যেমন- কমেন্টের উত্তর দিন নিয়মিত)
ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিচে উপস্থাপন করা হলো-
- অর্থের বিনিময়ে অন্যের প্রোফাইল প্রোমোট করে
- বিজ্ঞাপন করে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি
অন্য সকল প্ল্যাটফর্মের মতই ইন্সটাগ্রাম কনটেন্ট এর অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিনিয়ত ইন্সটাগ্রামে একটিভ থাকলে কিছুদিনের মধ্যে ইন্সটাগ্রাম আইডি ভাইরাল বা জনপ্রিয় হতে থাকবে। তারই সাথে সাথে আপনার আয়ও বাড়বে।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা শেয়ার করতে যাচ্ছি মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে আয় সম্পর্কে আলোচনা। ছোটোখাটো প্রচুর কাজ রয়েছে অনলাইনে- ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, অ্যাপ ইন্সটল, পোস্ট শেয়ার, সার্ভে ইত্যাদি। এ সকল ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট টাকা প্রদান করে। এসব সাইটকে বলা হয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট। এ সাইটগুলোর সুবিধা হচ্ছে যেকোনো ডিভাইস বা মোবাইল দিয়ে কাজ করে আয় করা সম্ভব। নিচে কিছু মাইক্রোওয়ার্ক সাইট- যেমন মাইক্রোওয়ার্কার্স, পিকোওয়ার্কার্স, ইত্যাদি।
অ্যাপস দিয়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
এ পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। স্মা্ট ফোন দিয়ে টাকা আয় করার অগনিত অ্যাপ থাকলেও অল্প সংখ্যক অ্যাপ রয়েছে যা বিস্বস্ত। ফুল টাইম হিসেবে এগুলো না নিলেও হাত খরছের টাকাটা অন্ততপক্ষে পাওয়া যায়। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় করার কিছু অ্যাপের তালিকা ও বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
পকেট মানিঃ এই অ্যাপটিতে বিভিন্ন প্রকারের গেম খেলা, সার্ভে ফর্ম সম্পন্ন করে ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আয় করা সম্ভব। তাছাড়াও এপসটির লিংক রেফার করে বোনাস হিসেবে ১৬০ টাকা পেতে পারেন আপনি। টাকা পেমেন্ট পাবেন রিচার্জের মাধ্যমে।
পোল পেঃ এই এপসটি সাধারণ ব্যবহারকারী মতামত, মন্তব্য, রিভিউ প্রদানে ব্যবহার হয়ে থাকে। আপনার অর্জনকৃত টাকা তুলতে পারবেন গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্সবক্স এর গিফট কার্ড হিসেবে। আপনি চাইলে গিফট কার্ডটি বিক্রিও করে দিতে পারেন বা কোন কিছু অনলাইন থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন।
গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ডঃ এই অ্যাপটিও প্রায় পোল পে অ্যাপের মতো হুবহু কাজ। বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন করার মাধ্যমে গুগল প্লে টাকা প্রদান করে থাকে।
বিকাশ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
আমরা জানি বিকাশ একটি টাকা লেনদেনের অ্যাপস মাত্র। কিন্তু এই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেও চাইলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। তো চলুন জেনে কিভাবে মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম করবেন। বিকাশ দিয়ে টাকা আয় করা একদম সহজ একটি কাজ। সাধারণত বিকাশ অ্যাপ রেফারের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। প্রতিটি রেফার সম্পন্ন ভাবে করতে পারলে বিকাশ আপনার ১০০ টাকা বোনাস দেবে।
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতিঃ
প্রথমে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ডানদিকের লগোতে ক্লিক করুন। তারপর রেফার বিকাশ অ্যাপ অপশন হতে রেফার এ ক্লিক করুন। প্রাপ্ত রেফার লিংকটি আপনি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। যেমন- এসএমএ, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে শেয়ার করুন।
শেয়ারকৃত রেফার ব্যবহার করে কেউ যদি বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তুলে একটি একাউন্ট খুলেন এবং লগিন করেন তাহলে যিনি লগিন করবেন তিনি পাবেন তাৎক্ষনিক ভাবে ২৫ টাকা। তাছাড়া যেকোনো পরিমান মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে পাবেন তিনি আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক। এতে আপনি পাবেন সমপরিমাণ বোনাস।
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা এমন নয় যে, সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা। এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে করে টাকা উপার্জনকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে যাতে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মোবাই দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিছু কাজ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- কনটেন্ট রাইটিং
- কপিরাইটিং
- ব্লগ কমেন্টিং
- ফোরাম পোস্টিং
- ট্রান্সলেশন
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
- প্রুফরিডিং
- ট্রান্সক্রিপশন, ইত্যাদি
ভিডিও বা ছবি বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
এখনকার সময় ক্যামেরা ব্যবহার করার কোন দরকারই হয় না কোন মানুষের। প্রযুক্তি বিবর্তনে আজ প্রত্যেকের হাতেই ভালো ক্যামেরার ফোন রয়েছে। এই ফোন ব্যবহার করেই ভালো ছবি বা ভিডিও করাও সম্ভব। পরবর্তীতে এই ভিডিও বা ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করা সম্ভব।
আপনার শখের বসে একটি ছবিও হতে পারে আপনার টার্নিং পয়েন্ট। শুরু হয়ে যেতে আপনার ইনকাম। তাই ছবি ও ভিডিও বিক্রি অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে তন্মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য সাইটের তালিকাভুক্ত করলামঃ
- শাটারস্টক
- ফোপ
- আইএম
- স্ন্যাপওয়্যার
- ড্রিমসটাইম
এ জাতীয় সাইটে ছবি, ভিডিও কেনা বেচা হয়ে থাকে। একটি ছবিই হতে আপনার ইনকামে প্রধান সোর্স। তাই ছবি তুলুন আর উপরের সাইটগুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ০৯ টি পদ্ধদ্ধির মধ্যে কোন পদ্ধতিটি আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে? কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে আমাদের জানান। এছাড়া আপনার নিকট এর ভালো আইডিয়া থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।