রোজার নিয়ম, নিয়ত, কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া: প্রতিটি কাজের একটি নিয়ম-শৃঙ্খলা আছে। বিশেষ করে, ইসলামের প্রতিটি কাজের জন্য শরিয়ত অনুযায়ী সুস্পষ্ট বিধি-বিধান রয়েছে। ইসলামের আওতায় যে কোনো আমল করার একমাত্র পন্থা হলো পবিত্র কোরআনের নিদের্শ এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখিয়ে দেওয়া পথ বা সুন্নাহ। কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশের বাইরে যেমন কোনো আমল নেই, তেমনি কোরআন-সুন্নাহর নিদের্শিত পথ ও পন্থার বাইরে আমল করার কোনো পদ্ধতিও নেই।
মনগড়া বা ইচ্ছা মতে বা নতুনা কিছু করাকে ইসলামে ‘বিদয়াত’ বলে, যা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাজ্য। কারণ পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহের বাইরে ইচ্চামতো বা নতুন কিছু বা বিদয়াত পালন বা চর্চা করার বিন্দুমাত্র সুযোগ ইসলামে নেই। ইসলামে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার অনুগত বান্দার জন্য রয়েছে সুস্পষ্ট পথ-নিদের্শনা, যার প্রতি আনুগত্য করেই ধর্ম পালন করতে হবে।
ইসলামের অপরাপর ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল ইত্যাদি আমলের মতোই রোজা পালনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিধি-বিধান রয়েছে। সেগুলো ইসলামী শরিয়তের অংশ ও মাসয়ালা আকারে বর্ণিত রয়েছে। যেমন:
রোজার নিয়ত:
যেকোনো কাজের সুস্পষ্ট নিয়ত বা উদ্দেশ্য থাকতে হবে। উদ্দেশ্যহীন কোনো কিছু করা আমল নয়। বরং জেনে, বুঝে, সিদ্ধান্ত নিয়ে ও উদ্দেশ্য ঠিক করে কাজ করা হলেই সে কাজ বা আমল স্বচ্ছ হয়। রোজার জন্যও নিয়ত করতে হবে। রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত অর্থ অন্তরের ইচ্ছা, উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা, সংকল্প গ্রহণ করা। দ্বিধাহীন চিত্তে নিয়ত করতে হয়। দোদুল্যমানতার মাধ্যমে সহিহ-শুদ্ধ নিয়ত হয় না। নিয়ত মনে মনে করা যায়। নিয়তের সময় এ সংকল্প করতে হয় যে, আমি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আগামীকাল রোজা রাখছি। মুখে কাউকে শুনিয়ে শুনিয়ে নিয়ত করার দরকার নেই। নিয়ত নিজে নিজে স্পষ্টভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে করলেই হবে। হাদিম শরিফে আছে: ‘সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।’ (বোখারি শরিফ: ১/২)
রোজার নিয়ত রাতে করাই উত্তম:
রোজার নিয়ত রোজা শুরুর আগেই করার দরকার। সাবধানতা স্বরূপ রাতেই আগত দিনের রোজা সম্পর্কে মনে মনে নিয়ত করে রাখাই উত্তম। কারণ হাদিস শরিফে এ সম্পর্কে ইঙ্গিত রয়েছে। হযরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনতা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির ফজরের আগে রোজার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না’ (আবু দাউদ শরিফ: ১/৩৩৩)। তবে, রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিয়ত করলেও রোজা হয়ে যাবে। আর রাত্রে নিয়ত করলেও সুবেহ সাদেক বা ফজরের পূর্ব পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী মেলামেশার অবকাশ থাকে। এতে নিয়তের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘রমজানের রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৭)
রোজার নিয়ম, নিয়ত, কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া
সাহরি খাওয়া:
রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খাওয়া সুন্নত। এক্ষেত্রে গলা পর্যন্ত বা পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়। অল্প খাওয়াই উত্তম। এতে হজম শক্তির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় না। প্রয়োজনে এক চুমুক পানি ও সামান্য কিছু খাবার গ্রহণ করলেও সাহরি খাওয়ার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাািিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘তোমরা সাহরি খাও। কেননা সাহরিতে বরকত রয়েছে’ (বোখারি শরিফ: ১৯২৩)। অন্য আরেক হাদিসে বলা হয়েছে: ‘সাহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরি কর। কারণ, যারা সাহরি খায়, আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন’ (মুসনাদে আহমাদ: ১১০৮৬)। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন: ‘আমাদের রোজা এবং আহলে কিতাব (ইহুদি-খ্রিস্টান) সম্প্রদায়ের মানুষের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া’ (মুসলিম শরিফ: ১০৯৬)। সাহরি মুসলমানদের একটি বিশেষ আমল, যা পালন করা কল্যাণময়।
দেরী করে সাহরি খাওয়া:
সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময় সাহরি খাওয়া মুস্তাহাব। যাতে রোজা রাখা অধিকতর সহজ হয়। এতে ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কষ্ট স্বীকার করতে হয় না। তবে, এতো দেরী করা মাকরূহ যে, সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। একটি হাদিসে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘ইফতার তাড়াতাড়ি করতে এবং সাহরি শেষ সময়ে খেতে আদেশ’ করেছেন। হযরত আমর ইবনে মায়মুন বলেছেন, ‘সাহাবায়ে কেরাম দ্রুত ইফতার করতেন এবং দেরীতে সাহরি খেতেন।’ হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন: ‘আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাহরি খেয়েছি। অতঃপর তিনি নামাজে দাঁড়ালেন। হযরত আনাস তখন জিজ্ঞাসা করলেন, আজান ও সাহরির মধ্যে কতটুকু সময়ের পার্থক্য ছিল? হযরত যায়েদ বললেন, পঞ্চাশটি আয়াত পরিমাণ’ (বোখারি শরিফ: ১৯২১)।
তাড়াতাড়ি ইফতার খাওয়া:
রোজার সমাপ্তিতে দ্রুত ইফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিলম্ব না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করা মুস্তাহাব। হযরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘যতদিন মানুষ দেরী না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে’ (মুসলিম শরিফ: ১০৯৮)। আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেছেন হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বলেন, মহানবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘যতদিন মানুষ সময় হওয়া মাত্র ইফতার করবে, ততদিন দ্বীন বিজয়ী থাকবে। কেননা, ইহুদি ও খ্রিস্টানরা ইফতারে দেরী করে’ (ইবনে মাজা শরিফ: ১৬৯৮)। তিরমিজি শরিফের একটি হাদিসে (৬৯৫) বলা হয়েছে: ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের পূর্বেই ইফতার করতেন।’
রোজার নিয়ম, নিয়ত, কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া
ইফতারের মুস্তাহাব খাদ্য:
খেজুর দ্বারা ইফতার করা মুস্তাহাব। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাগরিবের নামাজের আগে তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর না পেলে শুকনা খেজুর দ্বারা। আর তা না পেলে এক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন’ (তিরমিজি শরিফ: ৬৯৫)। তবে খেজুর না পেলে পানি দ্বারা শুরু করা উত্তম। স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও সারা দিনের রোজার পর প্রথমে কিছুটা পানি পান করা উচিত। হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যার কাছে খেজুর আছে সে খেজুর দ্বারা ইফতার করবে। খেজুর না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। কেননা, পানি হলো পবিত্র’ (আবু দাউদ শরিফ: ২৩৫৫)।
ইফতারের দোয়া:
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এ সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। ইফতার শুরু করার আগে এই দোয়া পাঠের জন্য হাদিসে বলা হয়েছে: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার জন্যই রোজা রেখেছিলাম এবং তোমার দেওয়া রিজিক/খাদ্য দ্বারাই ইফতার করলাম’ (আবু দাউদ: ২৩৫৮)। ইফতারের পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া পড়তেন: ‘পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সতেজ হলো আর আল্লাহ তায়ালা চাহেন তো রোজার সাওয়াব লিপিবদ্ধ হলো’ (আবু দাউদ শরিফ: ২৩৫৭)।
রোজাদারকে ইফতার করানো:
মেহমানদারি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কাউকে অর্থ-সম্পদ-খাদ্য দান করাও বিরাট সাওয়াবের বিষয়। এসব ইতিবাচক আমলের সাওয়াব রমজান মাসে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে, কোনো রোজাদারকে ইফতার করানো খুবই লাভজনক একটি আমল। হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার (রোজাদারের) অনুরূপ প্রতিদান লাভ করবে। তবে রোজাদারের প্রতিদান হতে বিন্দুমাত্রও কমানো হবে না (মুসনাদে আহমাদ: ১৭০৩৩)। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে: ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পানাহার করিয়ে ইফতার করাবে, সে তার অনুরূপ সাওয়াব লাভ করবে’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭৯০৬) +
রোজার নিয়ম, নিয়ত, কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া
রোজার কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া কীভাবে আদায় করবেন?
রমজান মাস আল্লাহ তাআলার অনন্য নেয়ামতে পরিপূর্ণ। বান্দা তা স্বচ্ছন্দে পালন করবে। কোনো কারণে সময়মতো পালন করতে না পারলে তা কাজা আদায় করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সিয়াম বা রোজা নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের যারা পীড়িত থাকবে বা ভ্রমণে থাকবে, তারা অন্য সময়ে এর সমপরিমাণ সংখ্যায় পূর্ণ করবে। আর যাদের রোজা পালনের সক্ষমতা নেই, তারা এর পরিবর্তে ফিদিয়া, (প্রতি রোজার জন্য) একজন মিসকিনকে (এক দিনের নিজের) খাবার দেবে। যে ব্যক্তি অধিক দান করবে, তবে তা তার জন্য অতি উত্তম। আর যদি তোমরা পুনরায় রোজা পালন করো, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৪)।’
রোজা রেখে কোনো ওজরের কারণে ভেঙে ফেললে তা পরে কাজা আদায় করতে হয়। কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা। কাজা রোজা পরবর্তীকালে সুবিধামতো সময়ে আদায় করা যায়, সব কাজা রোজা একত্রে আদায় করা জরুরি নয়।
রোজা রেখে ওজর ছাড়া কোনোরূপ শয়তানি ধোঁকায় বা নফসের তাড়নায় তা ভঙ্গ করলে এর জন্য কাজা ও কাফফারা উভয় আদায় করতে হয়। কাফফারা তিনভাবে আদায় করা যায়। একটি দাসমুক্ত করা, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করানো এবং ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা।
যে কয়টি রোজা রাখার পর ওজর ছাড়া ভাঙবে, ততটির প্রতিটির পরিবর্তে একটি করে কাজা এবং একই রমজান মাসের জন্য তার সঙ্গে যুক্ত হবে একটি কাফফারা। অর্থাৎ একটি রোজা যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভাঙলে তার জন্য কাজা ও কাফফারা হবে ৬১ রোজা, দুটি ভাঙলে হবে ৬২ রোজা, তিনটি ভাঙলে হবে ৬৩ রোজা।
রোজার নিয়ম, নিয়ত, কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া
কাফফারা ৬০টি রোজা একত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করতে হয়। কারও যদি কাজা, কাফফারাসহ মোট ৬১ বা তার বেশি হয়, তবে কমপক্ষে ৬১টি রোজা একটানা আদায় করতে হবে। কাফফারার রোজার মধ্যে বিরতি হলে বা ভাঙলে আরেকটি কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে। অর্থাৎ ৬১টি রোজা পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বিরতি হলে পুনরায় নতুন করে এক থেকে শুরু করে ৬১টি পূর্ণ করতে হবে। যে রোজাগুলো রাখা হলো তা নফল হিসেবে পরিগণিত হবে। কোনো গ্রহণযোগ্য ওজর বা আপদের কারণে ভাঙতে হলে তা ক্ষমার্হ। মহিলারা বিশেষ বিরতির সময় বাদ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে আদায় করবে।
শিশু নাবালেগ অবস্থায় (সাধারণত মেয়েদের ১১ বছরের পূর্বে ও ছেলেদের ১৩ বছরের পূর্বে) রোজা রাখা ফরজ নয়, তবু তারা নিজেদের আগ্রহে ও বড়দের উৎসাহে রোজা রেখে থাকে। এ অবস্থায় তারা যদি রোজা রেখে কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেকোনোভাবে রোজা ভেঙে ফেলে, তাহলে তাদের এ রোজার কাজা বা কাফফারা কোনোটিই প্রয়োজন হবে না।
কাফফারা, ফিদিয়া ও সদাকাতুল ফিতরের টাকা তাঁদের দেওয়া যাবে, যাঁদের জাকাত তথা ফরজ ও ওয়াজিব সদকা প্রদান করা যায়। যথা ‘ফকির, মিসকিন, সদকাকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে জিহাদ ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)।
রোজার নিয়ম, নিয়ত, কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া