লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা সহপাঠ লালসালু উপন্যাসের সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।
সাজেশন
আরো পড়ুনঃ
১) সেই পাট চুকে যাওয়ার পর সুড়সুড় করে বাড়িতে এসে পা রাখতেই মা রূপান্তরিত হল শাশুড়িতে।… ভোর থেকে মধ্যরাত অব্দি পরের বাড়িতে ধান সেদ্ধ, মাড়াই যাবতীয় কাজ করতে করতে তার পায়ের প্রতিটি ভাঁজে যেন আজন্ম বিষ জমে গেছে।
ক) ‘দিলে চায় না বুবু’- উক্তিটি কার?
খ) “তারা দুজনেই কিন্তু ভুল করে” কারা? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের কুসুমের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের হাসুনির মায়ের সাদৃশ্য কোথায়?
ঘ “উদ্দীপকটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের একটি খণ্ডাংশমাত্র।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
২) অবশেষে যথাক্রমে খাবো: গাছপালা, নদী-নালা
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত,
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ।
ভাত দে হারামজাদা, তা-না-হ’লে মানচিত্র খাবো।
ক. ঝালরওয়ালা সালু দ্বারা আবৃত কবরটি দেখতে কিসের মতো?
খ মহব্বতনগর গ্রামের লোকদের খোদার দিকে নজর কম কেন? বুঝিয়ে দাও।
গ উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে?
ঘ “উদ্দীপকে বর্ণিত বক্তব্য মজিদের কর্মকাণ্ডের সমধর্মী হলেও উভয়ের আদর্শ এক নয়।”— মূল্যায়ন কর।
৩) হাজেরা বিস্মিত হয়— মরতে বসেছে তবুও নামাজ। কী যে এর মানে, কিছু বুঝে উঠতে পারে না হাজেরা। সারা জীবনে নামাজ তো কম পড়েনি হাতেম। কিন্তু কই, কিছু তো পেল না আজও। শুধু কি বেহেস্তের লোভে নামাজের ভড়ং! ঝাঁঝালো কণ্ঠে হাজেরা বলে ওঠে— জ্বর আইছে, ভালা অইছে। আমি পারতাম না। ছওয়াবের ভাঁড়ার তুমিই ভরো। আমি দোজখেই যাইতে পারলে বাঁচি।
ক) গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে মজিদের যোগসূত্র কে?
খ) রহিমার প্রতি মজিদের ব্যবহার গুরুগম্ভীর হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকের হাজেরা ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের বিপরীত চরিত্র? নির্ণয় কর।
ঘ) দেখাও যে, বৈপরীত্য সত্ত্বেও উদ্দীপকের হাজেরা ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের রহিমা উভয়েই প্রাণধর্মে উজ্জীবিত।
লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
৪) বাগবাড়ি গ্রামটি বর্তমানে পুরুষশূন্য। সবার দৃষ্টি আজ বহুদূরে। গত বছরের বন্যা আর এবারের দারুণ খরায় তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে তারা আজ দিশেহারা। ভরসা তাদের যেন দূরের ওই শহর।
ক. মজিদ কাকে শাড়ি কিনে দিয়েছিল?
খ ) গ্রামের লোকেরা যেন রহিমারই অন্য সংস্করণ।’- বুঝিয়ে দাও।
গ) উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন বিশেষ দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) ‘ভরসা তাদের যেন দূরের ওই শহরে।’ মন্তব্যটি ‘লালসালু’ উপন্যাস অবলম্বনে বিশ্লেষণ কর।
৫) ঢাকা শহর মসজিদের শহর। মসজিদের পাশাপাশি অবশ্য এ শহরে রয়েছে অসংখ্য মাজার। এমনকি মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক কল্পকাহিনি ও প্রতারকচক্র।এমনি এক মাজারের রক্ষক মারফত আলী। দীর্ঘদিন এ কাজে নিয়োজিত থাকায় লোকে তাকে সমীহ করে, অন্য চোখে দেখে।
সাথে সাথে সেও নিজেকে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করে। তাই ভক্তদের কাছে তাঁর কদর অন্য রকম। ফলে দিনে দিনে মারফত আলীর ধনসম্পদ বেড়ে চেলেছে কিন্তু মনে যেন শান্তি নাই। সবসময় ভেতরটা খালি মনে হয়ে। সব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিল বিয়ে করবে সে। এবং বিয়েও করল ঠিক, এক ভক্তের নাবালিকা মেয়েকে।
ক. ন্যাংটা ছেলেও কী পড়ে?
খ মাজারে বসে মজিদ অশ্রু বিসর্জন করল কেন?
গ) “যুগের পরিবর্তন হয়েছে, ধর্ম সম্পর্কে মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু ধর্মব্যবসায়ী প্রতারকচক্র রয়ে গেছে ঠিক আগের মতোই।”- ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে উদ্দীপকের এই চিত্রের ব্যাখ্যা দাও।
ঘ) মাজারকে কেন্দ্র করে ধর্মের নামে অধর্মই বেশি হয় – উদ্দীপক ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে এ কথার সত্যতা যাচাই কর।
৬) কুমোরডাঙা গ্রামের মানুষের গোলাভরা ধান আর গলাভরা গানই গর্বের বিষয়। জোয়ান-বৃদ্ধরা ফসলের মাঠে সুরের ঢেউ তোলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা গাজীপীর, বদরপীরের সাহায্য চায়। খরার দিনে মাঠে নাচানাচি করে। অভাব আছে অনেকের ঘরে কিন্তু দুঃখ আছে কিনা বোঝা যায় না। জমির জন্য তারা লড়াই করে, জীবন দেয় কিন্তু মুখে খোদার নাম নেই কারও।
ক) ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ গ্রন্থের নাম কী?
খ) যেন বিশাল সূর্যোদয় হয়েছে, আর সে আলোয় প্রদীপের আলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে— ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের গ্রামবাসীর সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত কোন গ্রামের মানুষের সাদৃশ্য পাওয়া যায় বর্ণনা কর।
ঘ) উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের আবহমান গ্রামীণ জীবনচিত্র লক্ষ করা যায় উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
৭) ঘন কালো মেঘ। গভীর গাঢ় অন্ধকার, এই বুঝি পৃথিবীটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।রাশেদ তার ছোট বিবিকে শিক্ষা দিতে চেয়ে রেখে আসে ঘরের বাহিরে। বড় বিবির পরান কাঁদে ছোট বিবির জন্য।
ক) মজিদের প্রথম স্ত্রীর নাম কী?
খ) জমিলা যেন ঠাটাপড়া মানুষের মতো হয়ে গেছে— কেন? বুঝিয়ে দাও।
গ) উদ্দীপকের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন দৃশ্যপটের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকের রাশেদের ছোট বিবির জন্য বড় বিবির ভালোবাসা এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের জমিলার জন্য রহিমার ভালোবাসা একই সূত্রে গাঁথা- বিশ্লেষণ কর।
৮। হিজলতলী গ্রামের মানবদরদি, পরোপকারী, নীতিবান প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক ‘আকবর স্যারকে গ্রামবাসী যেমন শ্রদ্ধা করে তেমনি ভালোও বাসে। গ্রামের বিভিন্ন বিচার-আচারেও তার মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। একদিন এক গ্রাম্য সালিসে তিনি বললেন— আপনারা আপনাদের পরিবারকে অবহেলা করবেন না। নারী হলেও তারা মানুষ। আর নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সুতরাং সংসারের প্রয়োজনে তাদের মতামতকেও আপনারা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করবেন।
ক) একদিন সকালে মাজারে এসে কে তীক্ষ্ণ আর্তনাদ শুরু করেছিল?
খ) সমস্ত আস্ফালনের মুখে চুন দিল— কীভাবে? বুঝিয়ে দাও।
গ) উদ্দীপকে আকবর স্যারের মানসিকতার সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের মানসিকতার পার্থক্য তুলে ধর।
ঘ) ‘নারী হলেও তারা মানুষ’- উদ্দীপকের এই উক্তিটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলোর উপর কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা কর।
৯) শিক্ষিত, স্বাস্থ্যসম্মত, রুচিশীল সমাজ গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করছেন চেয়ারম্যান কদম আলী। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন, গ্রামের মানুষ সুস্থ সুন্দর উন্নত জীবনযাপন করবে এই তার ইচ্ছা। তিনি উন্নয়নের সূচক হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা, ভৌত অবকাঠামো, স্যানিটেশন, নিরাপত্তা, নারীর অগ্রাধিকার এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের দিকে সদাজাগ্রত। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় কুসংস্কার, পারিবারিক কলহ, সাম্প্রদায়িক বিবাদ, অনৈতিক আচরণ থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করেন। উন্নয়নশীলতার দিক থেকে অগ্রগামী এই গ্রামের চেয়ারম্যান সকলের অনুকরণীয় আদর্শ।
ক.‘বেএলেম’ কী?
খ “মৃত মানুষের খোলা চোখের মতো”— কী? ব্যাখ্যা কর।
গ ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাথে উদ্দীপকের চেয়ারম্যান কদম আলী বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? বিশ্লেষণ কর।
ঘ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত ‘লালসালু’ উপন্যাসের বিষয়বস্তু থেকে উদ্দীপকের বিষয়বস্তু বিপরীতধর্মী।”- বিশ্লেষণ করে মতামত দাও।
১০৯ (i) দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর
আয়না বসাইয়া দাও মোর কলবের ভিতর।
(ii) কেউ ফিরে না খালি হাতে, খাজা বাবার দরবারে।
ক) সভায় অশীতিপর বৃদ্ধ সলেমনের বাপও ছিল। ‘অশীতিপর’ মানে কী?
খ) “দুনিয়াটা বিবি বড় কঠিন পরীক্ষাক্ষেত্র। দয়া-মায়া সকলেরই আছে।” কে এবং কেন বলছে এই কথা?
গ) অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশ কি মোদাচ্ছের পীরের মাজারকে স্মরণ করিয়ে দেয়? আলোচনা কর ।
ঘ) অনুচ্ছেদ দুটোর ভেতরে ‘মজিদ’-এর কণ্ঠ শুনি।” তোমার অভিমত কী?
১১) চৈত্র মাসের রোদে মাঠটা খাঁ খাঁ “করছে, যেদিকে তাকানো যায় শুধু শুকনো মাটি। পাথরের মতো শক্ত। তার অসংখ্য ফাটল। মাটি উত্তাপ সহ্য করতে না পেরে ফেটে যায়। দাঁড়কাকগুলো তৃষ্ণায় সারাক্ষণ কা-কা করে উড়ে বেড়ায়।
ক. পাহাড় মধুপুর গড় থেকে কত দিনের পথ?
খ “নধর নধর হয়ে ওঠা কচি কচি ধানের ডগার পানে চেয়ে বুক কেঁপে ওঠে তাদের।”- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ) উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) “উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘লালসালু’ উপন্যাসের কিছু অংশকে স্পর্শ করেছে মাত্র।” উদ্দীপক ও ‘লালসালু’ উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা কর।
উত্তরমালা
এই লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)) ছাড়াও আরো পড়ুন