সুভা গল্পের মূলভাব বা বিষয়বস্তু

সুভা গল্পের মূলভাব বা বিষয়বস্তু

সুভা গল্পের মূলভাব বা বিষয়বস্তু এর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে। তাই এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করো এবং অনুশীলন অব্যাহত রাখো। তোমাদের জন্য শুভকামনা।

সুভা গল্পের মূলভাব বা বিষয়বস্তু

রচনার বক্তব্যবিষয় (Gist) 

‘সুভা’ গল্পে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী সুভার প্রতি লেখকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমতার প্রকাশ ঘটেছে। সুভা কথা বলতে পারে না। তাই সে মনের ভাব সবার মতো করে প্রকাশ করতে পারে না। বাবা-মা ও আপনজনেরা তাকে নিয়ে যে দুশ্চিন্তা করেন, তা সে বুঝতে পারে।

তাই সে নিজেকে সবার কাছ থেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে। মা এমন মেয়ের জন্য লজ্জা ও বিরক্তি বোধ করেন, কিন্তু বাবা তাকে খুব ভালোবাসেন। সমবয়সী ছেলেমেয়েরা সুভাকে ভয় পায়। তাই সে বন্ধুত্ব পাতায় গোয়ালের দুটি গাভী সর্বশী ও পাঙ্গুলির সঙ্গে। ছাগল, বিড়ালও তার বন্ধু। যারা কথা বলতে পারে না সেই পোষা প্রাণীদের কাছে সুভা মুখর।

আর বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে সে পায় মুক্তির আনন্দ। সুভার সঙ্গী আরেকজন ছিল— গোঁসাইদের ছোট ছেলে প্রতাপ। নিতান্ত অকর্মণ্য এই ছেলেটির শখ ছিল— নদীতে ছিপ ফেলে মাছ ধরা। বাক্যহীন সঙ্গী হিসেবে সে সুভার মর্যাদা বুঝত।

সুভা তেঁতুলতলায় বসে কখনো জলের দিকে, কখনো ছিপের দিকে তাকিয়ে থেকে প্রতাপের কোনো কাজ করে দেওয়ার কথা ভাবত। সুভা প্রতাপের জন্য পান সাজিয়ে আনত। জগৎ-সংসারে সে আশ্রয় খুঁজে ফেরে প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন এবং তাদের প্রতি আমাদের মনে স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা জাগাতে চেয়েছেন।

Read More:

Leave a Comment

You cannot copy content of this page

Scroll to Top