২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (হাইড্রা) | প্রাণিবিজ্ঞান জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | Hydra suggestion এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সাজশন ও অনুশীলন ও পরীক্ষায় ভালো করার জন্য দিয়েছি উত্তরসহ। আশাকরি তোমাদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি সহায়তা করবে।
অধ্যায় ২: প্রাণীর পরিচিতি (জ্ঞানমূলক) Hydra
■ হাইড্রা
প্রশ্ন-১. হাইপোস্টোম কী? [রা. বো., কু, বো. ১৯, য. বো. ১৭; চ. রো, ১৬]
উত্তর : Hydra-এর দেহের মুক্ত প্রান্তে অবস্থিত, মোচাকৃতির ছোট ও সংকোচন-প্রসারণশীল অংশই হলো হাইপোস্টোম।
■ হাইড্রার অন্তর্গঠন: এপিডার্মিস
প্রশ্ন-২. দ্বিভূণস্তরী প্রাণী কী?
উত্তর: ভূণাবস্থায় যেসব প্রাণীর দেহপ্রাচীরের কোষগুলো কেবল এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি নির্দিষ্ট স্তরে বিন্যস্ত থাকে, সেসব প্রাণীই হলো দ্বিভূণস্তরী প্রাণী।
প্রশ্ন-৩. মায়োনিম কী?
উত্তর: Hydra-র পেশি আবরণী কোষের সরু প্রান্তের কোষে এক ধরনের নমনীয় ও সংকোচন প্রসারণশীল তন্তু থাকে যা দুটি পেশি প্রবর্ধন তৈরি করে সেই তন্তুই হলো মায়োনিম।
প্রশ্ন-৪. ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ কী?
উত্তর: পেশি-আবরণী কোষের অন্তর্মুখী সরুপ্রান্তের ফাঁকে-ফাঁকে গুচ্ছাকারে, মেসোগ্লিয়া ঘেঁষে অবস্থানকারী কোষগুলোই ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ।
প্রশ্ন-৫. নিডোসাইট কী? দিবো. ১৭; য. বো. ১৫
উত্তর : Cnidaria পর্বের প্রাণীদের এপিডার্মিসের পেশি আবরণী কোষসমূহের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বিশেষায়িত কোষগুলোই হলো নিডোসাইট।
প্রশ্ন-৬. অপারকুলাম কী?
উত্তর: হাইড্রার নিডোব্লাস্ট কোষের নেমাটোসিস্ট থলিটি যে ঢাকনা দ্বারা আবৃত থাকে তাই হলো অপারকুলাম।
■ হাইড্রার অন্তর্গঠন: গ্যাস্ট্রোডার্মিস
প্রশ্ন ৭. সিলোম কী?
উত্তর: সিলোম হলো পৌষ্টিকনালি ও দেহপ্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান, যা মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম কলার আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।
প্রশ্ন-৮. মেসোগ্লিয়া কী? (ঢা.বো., দিবো., য, বো. ১৯; রা, বো, ১৭)
উত্তর: নিডারিয়া প্রাণীদের এপিডার্মিস ও গ্যাস্ট্রোডার্মিসের মাঝখানে অবস্থিত জেলির মতো আঠালো, স্থিতিস্থাপক, পাতলা, বর্ণহীন ও অকোষীয় স্তরটিই হলো মেসোগ্লিয়া |
প্রশ্ন-৯. সিলেন্টেরন কী?
উত্তর: Hydra-র দেহের কেন্দ্রস্থলে যে লম্বাকার একটি গহ্বর থাকে, তার নাম সিলেন্টেরন I
■ হাইড্রার খাদ্যগ্রহণ ও পরিপাক
প্রশ্ন-১০. Hydra-র প্রধান খাদ্য কী?
উত্তর: Hydra-র প্রধান খাদ্য হলো ক্ষুদ্র ক্রাস্টাসীয় ‘সন্ধিপদী প্রাণী।
প্রশ্ন-১১. অধিকাংশ বহুকোষী প্রাণীতে কী ধরনের পরিপাক ঘটে থাকে?
উত্তর: অধিকাংশ বহুকোষী প্রাণীতে বহিঃকোষীয় পরিপাক ঘটে থাকে।
হাইড্রাঃ ২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (হাইড্রা) | প্রাণিবিজ্ঞান জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | Hydra suggestion
■ হাইড্রার চলন
প্রশ্ন-১২. Hydra-র কোন চলনটি দেখতে শুঁয়োপোকার গমন পদ্ধতির মতো দেখায়?
উত্তর: Hydra-র লুপিং বা হামাগুড়ি চলনটি দেখতে শুঁয়োপোকার গমন পদ্ধতির মতো ।
■ হাইড্রার প্রজনন
প্রশ্ন-১৩. মুকুলোদ্গম কী?
উত্তর: অযৌন জনন প্রক্রিয়ায় কোনো জীবের মুকুল সৃষ্টির মাধ্যমে বংশবিস্তারই হলো মুকুলোদ্গম।
প্রশ্ন-১৪. Hydra-র জননাঙ্গ কী কী?
উত্তর: Hydra-র জনানাঙ্গ হলো শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় ।
প্রশ্ন-১৫, যৌন জনন কী?
উত্তর: স্ত্রী ও পুরুষ জননাঙ্গ অর্থাৎ ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয় থেকে যথাক্রমে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সৃষ্টি এবং তাদের নিষেকের মাধ্যমে শিশু প্রাণী উৎপাদন করার প্রক্রিয়াই হলো যৌন জনন ।
প্রশ্ন-১৬. স্টেরিওগ্যাস্টুলা কী?
উত্তর: মাতৃদেহের সাথে সংযুক্ত হাইড্রার দ্বিস্তর বিশিষ্ট গ্যাস্টুলাই হলো স্টেরিওগ্যাস্ট্রলা।
■ হাইড্রার মিথোজীবিতা ও শারীরবৃত্তীয় শ্রমবণ্টন
প্রশ্ন-১৭, শ্রমবণ্টন কী?
উত্তর: একটি বহুকোষী জীবদেহে যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজ বিভিন্ন কোষে, অঙ্গে বা অঙ্গতন্ত্রে বণ্টনই হলো শ্রমবণ্টন।
খ নম্বর প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
■ হাইড্রা
প্রশ্ন-১. Hydra-র শ্রেণিতাত্ত্বিক অবস্থান লেখো।
উত্তর: Hydra-র শ্রেণিতাত্ত্বিক অবস্থান হলো-
Kingdom-Animalia
Phylum-Cnidaria
Class-Hydrozoa
Order-Hydroida
Family-Hydridae
Genus-Hydra
Specien-H. vulgaris
প্রশ্ন-২, Hydra-র বাহ্যিক গঠন ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: একটি পরিণত Hydra-র দেহকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। দেহের মুক্ত প্রান্তে অবস্থিত প্রসারণ অংশটি হাইপোস্টোম। হাইপোস্টোমের গোড়ার দিকে সুতার মতো ৬-১০টি কর্ষিকা এবং চূড়ায় মুখছিদ্র রয়েছে। হাইপোস্টোমের নিচ থেকে পাদ-চাকতির উপর পর্যন্ত সংকোচন প্রসারণশীল অংশটি হলো দেহকাণ্ড। দেহকাণ্ডের নিচের দিকে গোল ও চাপা অংশে পদতল রয়েছে।
■ হাইড্রার অন্তর্গঠন: এপিডার্মিস
প্রশ্ন-৩, হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর : ভূণাবস্থায় দ্বিস্তরী প্রাণীদের দেহপ্রাচীরের কোষগুলো কেবল এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি নির্দিষ্ট স্তরে বিন্যস্ত থাকে। এছাড়া দু’স্তরের মাঝখানে মেসোগ্লিয়া নামক অকোষীয় জেলির ন্যায় একটি স্তর থাকে। এসব বৈশিষ্ট্যগুলো Hydra-এর মধ্যে বিদ্যমান থাকায় একে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয়।
২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (হাইড্রা) | প্রাণিবিজ্ঞান জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | Hydra suggestion
প্রশ্ন-৪. হাইড্রাকে কেন Cnidaria পর্বভুক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: হাইড্রার দেহ দুইটি স্তরে বিভক্ত এবং অরীয় প্রতিসম। এদের দেহে সিলেন্টেরন নামক গহ্বর বিদ্যমান, যা মূলত Cnidaria পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য। তাই হাইড্রাকে Cnidaria পর্বভুক্ত করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৫. নেমাটোসিস্ট বলতে কী বোঝায়? [রা. বো, ১৯]
উত্তর: নিডোসাইট কোষের ভেতরে যে লম্বা, সরু, ফাঁপা ও প্যাঁচানো সূত্রযুক্ত স্থূল প্রাচীরের ক্যাপসুল থাকে তাকে নেমাটোসিস্ট বলে। নেমাটোসিস্ট প্রোটিন ও ফেনলে গঠিত হিপানোটক্সিন নামক বিষাক্ত তরলে পূর্ণ থাকে। হাইড্রার কর্ষিকায় নেমাটোসিস্ট থাকে যা এদের খাদ্য ধরতে সহায়তা করে।
■ হাইড্রার অন্তর্গঠন: গ্যাস্ট্রোডার্মিস
প্রশ্ন-৬. মেসোগ্লিয়া বলতে কী বোঝায়? [ব.বো. ১৯]
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের এপিডার্মিস ও গ্যাস্ট্রোডার্মিসের মাঝখানে জেলির মতো আঠালো, স্থিতিস্থাপক, পাতলা, বর্ণহীন এবং উভয় কোষস্তর নিঃসৃত অকোষীয় স্তরটির নাম মেসোগ্লিয়া। মেসোগ্লিয়া এপিডার্মিস ও গ্যাস্ট্রোডার্মিসের কোষগুলোর ভিত্তিতল হিসেবে কাজ করে। এর স্থিতিস্থাপকতা প্রাণীর কর্ষিকাকে এবং দেহের সংকোচনে ও প্রসারণে সহায়তা করে। এটি প্রাণীর দৈহিক নমনীয়তা প্রদান করে কাঠামো গঠন করে।
প্রশ্ন-৭. সিলেন্টেরন বলতে কী বোঝায়? [রা.বো.১৭]
উত্তর : নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের যে পরিপাক সংবহন গহ্বর থাকে তাকে সিলেন্টেরন বলে। এটি একটি ছিদ্র পথ দিয়ে বাইরে উন্মুক্ত হয় যা মুখ ও পায়ুর কাজ করে। সিলেন্টেরন গ্যাস্ট্রোডার্মিস দ্বারা ঘেরা থাকে।
প্রশ্ন-৮, Hydra-র সিলেন্টেরনকে গ্যাস্ট্রো ভাস্কুলার গহ্বর বলা হয় কেন? দিবো. ১৯
উত্তর: হাইড্রার দেহের কেন্দ্রস্থ ফাঁকা গহ্বরটি সিলেন্টেরন নামে পরিচিত। এটি গ্যাস্ট্রোডার্মিস দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। এখানে একাধারে খাদ্যসার, শ্বসন ও রেচন পদার্থ পরিবহন হয়। তাই এই গহ্বরটিকে গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার গহ্বর বা পরিপাক সংবহন গহ্বর বলা হয়।
■ হাইড্রার খাদ্যগ্রহণ, পরিপাক এবং চলন
প্রশ্ন-৯. সিলোম ও সিলেন্টেরনের মধ্যে পার্থক্য কী কী?
উত্তর: সিলোম ও সিলেন্টেরন এর মাঝে বৈশিষ্ট্যগত ও গঠনগত দিক দিয়ে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সিলোম হলো ত্রিস্তরী প্রাণীর দেহপ্রাচীর ও পৌষ্টিকনালীর মধ্যবর্তী ফাঁকা অঞ্চল। পক্ষান্তরে সিলেন্টেরন হলো প্রাণীর দেহাভ্যন্তরের গহ্বর। সিলোমের উৎপত্তি সিলোমিক পাউচ থেকে হলেও সিলেন্টেরন হলো আর্কেন্টেরনের রূপান্তর। সিলোমে সিলোমরস থাকে কিন্তু সিলেন্টেরনে খাদ্য ও পানি থাকে। সিলোম পৌষ্টিকনালির কাজ না করলেও সিলেন্টেরন একইসাথে দেহগহ্বর ও পৌষ্টিকনালির কাজ করে।
প্রশ্ন-১০. হাইড্রার অন্তঃকোষীয় পরিপাক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোষের অভ্যন্তরে সংঘটিত হওয়া পরিপাককে অন্তঃকোষীয় পরিপাক বলে। যেমন- Hydra-র সিলেন্টেরনের বহিঃকোষীয় পরিপাককৃত খাদ্যকে গ্যাস্ট্রোডার্মিসের ক্ষণপদযুক্ত পুষ্টিকোষ ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় গলধঃকরণ করে। এসব খাদ্যমন্ড তখন কোষস্থিত খাদ্য গহ্বরে অবস্থান নেয় এবং সাইটোপ্লাজম নিঃসৃত এনজাইমের সাহায্যে পরিপাক হতে থাকে। এভাবেই Hydra-র অন্তঃকোষীয় পরিপাক হয়।
প্রশ্ন-১১. লুপিং চলন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: হাইড্রা লুপ গঠনের মাধ্যমে যে চলন সম্পন্ন করে তাকে লুপিং চলন বলা হয়। অধিক দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য হাইড্রা এই চলন সম্পন্ন করে। এ পদ্ধতিতে, হাইড্রা প্রথমে কর্ষিকা উপরে করে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। অতঃপর গমন পথের দিকে দেহকে বাঁকিয়ে কর্ষিকা দ্বারা চলন তল স্পর্শ করে এবং লুপ গঠন করে। এভাবে ধীর গতিতে হাইড্রা দেহকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।
প্রশ্ন-১২, Hydra-র লুপিং ও সমারসন্টিং চলনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর: Hydra-র লুপিং ও সমারসল্টিং চলনের মধ্যে অনেক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। লম্বা দুরত্ব অতিক্রমের জন্য Hydra-সাধারণত লুপিং চলন পদ্ধতি ব্যবহার করলেও দ্রুত চলনের সময় Hydra সমারসল্টিং চলন পদ্ধতি অনুসরণ করে। লুপিং পদ্ধতিতে Hydra শুরুতে পেশি আবরণী কোষগুলো সংকুচিত করলেও কর্ষিকার উপর ভর দিয়ে দেহকে সোজা করে না। পক্ষান্তরে সমারসল্টিং পদ্ধতিতে Hydra শুরুতে দেহকে বাঁকিয়ে চলনের গতিপথে গ্লুটিন্যান্ট জাতীয় নেমাটোসিস্টের সাহায্যে গতিপথকে স্পর্শ করে এবং কর্ষিকার উপর ভর দিয়ে দেহকে সোজা করে দেয়। তাই লুপিং পদ্ধতি শুয়ো পোকার গমন পদ্ধতির মতো দেখালেও সমারসল্টিং পদ্ধতি এ রকম দেখায় না।
■ হাইড্রার প্রজনন
প্রশ্ন-১৩. মুকুলোদগম বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মুকুলোদগম Hydra-র একটি জনন প্রক্রিয়া। খাদ্যের প্রাচুর্যতার কারণে গ্রীষ্মকালে Hydra দেহে মুকুলোদগম ঘটায়। মুকুলোদগম প্রক্রিয়ার শুরুতেই Hydra-র দেহের মধ্যাংশ বা নিম্নাংশের কোনো স্থানে এপিডার্মাল ইন্টারশিয়াল কোষ দ্রুত বিভক্ত হয়ে ক্ষুদ্র স্ফীত অংশের সৃষ্টি করে। এগুলো ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ফাঁপা নলাকার মুকুল বা কুঁড়িতে পরিণত হয় এবং ক্রমশ তা থেকে এপিডার্মিস, মেসোগ্লিয়া ও গ্যাস্ট্রোডার্মিস গঠিত হয়। মুকুলটি শীর্ষপ্রান্ত মুখছিদ্র, হাইপোস্টোম ও কর্ষিকা গঠন করে।
প্রশ্ন-১৪, হাইড্রাতে স্ব-নিষেক ঘটে না কেন?
উত্তর: অধিকাংশ হাইড্রা উভলিঙ্গিক হলেও এদের নিজের শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন হয় না অর্থাৎ স্বনিষেক ঘটে না। কারণ স্ত্রীজননাঙ্গ ও পুংজননাঙ্গ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরিপক্কতা লাভ করে। ফলে নিজের শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলনের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
■ হাইড্রার মিথোজীবিতা ও শারীরবৃত্তীয় শ্রমবণ্টন
প্রশ্ন-১৫. মিথোজীবিতা বলতে কী বোঝায়? [যবো. ১৭ ঢা.বো, ব., বো. ১৬:য, বো, ১৫]
উত্তর: ভিন্ন প্রজাতির দুটি জীব যখন পারস্পরিকভাবে সহাবস্থান করে এবং উভয়ই উভয়ের নিকট থেকে উপকৃত হয় তখন এ ধরনের সহাবস্থানকে মিথোজীবিতা বলা হয়। সহাবস্থানকারী জীবদ্বয়কে বলা হয় মিথোজীবী। যেমন- হাইড্রা ও শৈবাল এক সাথে অবস্থানকালে পরস্পর পরস্পরের নিকট থেকে উপকৃত হয়।
প্রশ্ন-১৬. হাইড্রাকে অমর প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর : হাইড্রাকে অমর প্রাণী বলা হয় এর পুনরুৎপত্তি ক্ষমতার জন্য। এই ক্ষমতার মাধ্যমে কোনো হাইড্রার দেহ বাহ্যিক কারণে দুই বা ততোধিক খণ্ডে বিভক্ত হলে প্রত্যেক খণ্ড থেকে নতুন হাইড্রা জন্মায়। বিচ্ছিন্ন অংশের ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ বিভাজিত ও রূপান্তরিত হয়ে বিভিন্ন কোষ সৃষ্টি করে দেহ গঠনের মাধ্যমে অপত্য হাইড্রার বিকাশ ঘটে। তাই হাইড্রার স্বাভাবিক মৃত্যু নেই ।
এই ২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (হাইড্রা) | প্রাণিবিজ্ঞান জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | Hydra suggestion ছাড়াও আরো জানতে ক্লিকঃ