২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (রুই মাছ) | রুই মাছ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | HSC এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সাজশন ও অনুশীলন ও পরীক্ষায় ভালো করার জন্য দিয়েছি উত্তরসহ। আশাকরি তোমাদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি সহায়তা করবে।
■ রুই মাছ
প্রশ্ন-৪৮. কাৰ্প মাছ কী? (ব. বো.১৭)
উত্তর: Cypriniformes বর্গভুক্ত Cyprinidae গোত্রের কঠিনাস্থি বিশিষ্ট মাছ সমূহই হলো কাৰ্প ।
প্রশ্ন-৪৯. রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম লেখো। (য. বো. ১৫)
উত্তর: রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Labeo rohita.
প্রশ্ন-৫০, ম্যাক্সিলারি বার্বেল কী?
উত্তর: রুই মাছের ম্যাক্সিলাতে সাধারণত একজোড়া স্পর্শী দাঁড়ি থাকে তাই হলো ম্যাক্সিলারি বার্বেল।
প্রশ্ন-৫১, ব্রাকিওস্টেগাল ঝিল্লি কী? ((সি. বো, ১৭)
উত্তর: রুই মাছের কানকোর পশ্চাৎ কিনারায় অবস্থিত অস্থিনির্মিত, যে পাতলা ঝিল্লি কানকোকে দেহপৃষ্ঠের সাথে আটকে রাখে তাই ব্রাডিকওস্টেগাল ঝিল্লি
প্রশ্ন-৫২, পার্শ্বরেখা অঙ্গ কী?
উত্তর: ‘রুই’ মাছের ধড়ের পুরোটা জুড়ে দুপাশে রেখাকৃতির সংবেদী অঙ্গটিই হলো পার্শ্ব রেখাতন্ত্র।
প্রশ্ন-৫৩. সাইক্লয়েড আইশ কী?
উত্তর: ত্বকের ডার্মাল স্তর হতে সৃষ্ট, পাতলা, গোলাকার অস্থি পাতময়, রূপালি বর্ণের গঠনটিই হলো সাইক্লয়েড আঁইশ।
■ রুই মাছের রক্ত সংবহনতন্ত্র
প্রশ্ন-৫৪. ভেনাস হার্ট বা শিরা হৃৎপিণ্ড কী?
উত্তর: যে হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে CO2 সমৃদ্ধ রক্ত পেছন থেকে সামনের দিকে এক মুখি হয়ে বাহিত হয় তাই হলো ভেনাস হার্ট বা শিরা হৃৎপিণ্ড।
প্রশ্ন-৫৫. হোলোব্রাক বা পূর্ণফুলকা কী?
উত্তর: একটি ফুলকা যদি দুটি সদৃশ অর্ধাংশ নিয়ে গঠিত হয় তখন তাই হোলোব্রাক বা পূর্ণফুলকা নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-৫৬. সাইনাস ডেনোসাস কী?
উত্তর: সাইনাস ভেনোসাস হলো রুই মাছের হৃৎপিণ্ডে পাতলা প্রাচীর বিশিষ্ট এক ধরনের উপপ্রকোষ্ঠ যা হৃৎপিণ্ডের পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত।
■ রুই মাছের শ্বসন
প্রশ্ন-৫৭. অন্তর্বাহী ব্রাকিয়াল ধমনি কী?
উত্তর: রুই মাছের যেসব ধমনি হূৎপিণ্ড হতে ফুলকা দিকে CO2 সমৃদ্ধ রক্ত বহন করে, সেসব ধর্মনিই হলো অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি।
প্রশ্ন-৫৮. নিউমেটিক নালি কী?
উত্তর: রুই মাছের অন্ননালির সাথে বায়ুথলির সম্মুখ প্রকোষ্ঠ সংযুক্তকারী সরু নলই হলো নিউমেটিক নালি।
প্রশ্ন-৫৯. ফুলকা রেকার কাকে বলে?
উত্তর: মাছের ফুলকার অস্থিময় ফুলকা আর্চের আন্তঃকিনারা থেকে প্রসারিত কাঁটাযুক্ত পাতলা অংশকে ফুলকা রেকার বলে।
■ রুই মাছের প্রজনন ও জীবনচক্র
প্রশ্ন-৬০, লার্ভা কী? (য. বো: ১৫)
উত্তর: লার্ভা হলো পতঙ্গের পরিস্ফুটনের একটি দশা।
প্রশ্ন-৬১. ডিমারসাল কী?
উত্তর: পানিতে ডুবে যাওয়া স্ত্রী রুই মাছের ডিমই হলো ডিমারসাল।
■■ রুই মাছের সংরক্ষণ
প্রশ্ন-৬২. মৎস্য খনি কী?
উত্তর: চট্টগ্রামের হালদা নদীসহ অন্যান্য যেসব নদী মৎস্যসমৃদ্ধ তাই হলো মৎস্য খনি।
প্রশ্ন-৬৩, প্রাকৃতিক সংরক্ষণ কী?
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশ তথা প্রাকৃতিক উৎসে জীবের বিশুদ্ধ জিন রক্ষণাবেক্ষণই হলো প্রাকৃতিক সংরক্ষণ।
Rohita: ২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (রুই মাছ) | রুই মাছ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | HSC
■ রুই মাছ(অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-৩৭. কার্প জাতীয় মাছ বলতে কী বোঝায়? (দিবো,১৭)
উত্তর: অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও চাষযোগ্য যে সমস্ত অস্থিবিশিষ্ট মাছ মিঠা পানিতে বাস করে, যাদের মাথা আঁইশবিহীন এবং অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ থাকে না তাদের কার্প মাছ বলে। বাংলাদেশে রুই ছাড়াও কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস প্রভৃতি কার্প জাতীয় মাছ পাওয়া যায়। এগুলোকে বড় কার্প জাতীয় মাছ বলে।
প্রশ্ন-৩৮. রুই মাছের শ্রেণিতাত্ত্বিক অবস্থান লেখো।
উত্তর: উত্তর: রুই মাছের শ্রেণিতাত্ত্বিক অবস্থান হলো-
Phylum Chordata
Subphylum – Vertebrata
Superclass – Pisces
Class-Osteichthyes
Order – Cypriniformes
Family – Cyprinidae
Genus – Labeo
Species-L. rohita
প্রশ্ন-৩৯. পার্শ্ব রেখাতন্ত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর: রুই মাছের দেহের দুপাশে একসারি ছোট ছোট গর্ত আছে, যা আঁইশের নিচে অবস্থিত একটি লম্বা খাদের সঙ্গে যুক্ত। এ খাদ ওগর্তের সমন্বয়ে মাছের পার্শ্ব রেখাতন্ত্র গঠিত হয়। এতে অবস্থিত সংবেদী কোষ পানির তরঙ্গ থেকে পানির গুণাগুণ সংক্রান্ত রাসায়নিক সংবেদন গ্রহণ করে।
প্রশ্ন-৪০, ব্রাকিওস্টেগাল পর্দার কাজ লেখো।
উত্তর: ব্রাঙ্কিওস্টেগাল পর্দা হলো কানকোর নিচের কিনারায় অবস্থিত একটি পাতলা পর্দা বিশেষ। এটি ব্রাঙ্কিওস্টেগাল রশ্মির সাথে যুক্ত হয়ে ফুলকা প্রকোষ্ঠের বড় অর্ধচন্দ্রাকার ছিদ্রকে ঢেকে রাখে। কানকো খোলা থাকলে এই পর্দাটি প্রসারিত হয়ে ব্রাঙ্কিয়াল গহ্বর বন্ধ করে। প্রতিরক্ষা, জনন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও এই পর্দা ভূমিকা রাখে।
২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (রুই মাছ) | রুই মাছ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | HSC
প্রশ্ন-৪১. অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রুই মাছের ভেন্ট্রাল অ্যাওটা থেকে যেসব পার্শ্বীয় রক্তনালি পথে CO2 সমৃদ্ধ রক্ত দু’পাশের ফুলকায় বাহিত হয় সেগুলোকে বলে অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি বলে। রুই মাছের বাল্বাস আর্টারিওসাস থেকে সৃষ্ট ভেন্ট্রাল অ্যাওটা বা অঙ্কীয় মহাধমনির প্রতিপাশ থেকে ৪টি করে মোট ৪ জোড়া অন্তর্বাহী ব্রাঙ্কিয়াল ধমনি বের হয়।
প্রশ্ন-৪২. উন্মুক্ত ধরনের রক্ত সংবহনতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে সংবহনতন্ত্রে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে নালিকাপথে বের হওয়ার পর উন্মুক্ত দেহগহ্বরে প্রবেশ করে এবং দেহগহ্বর থেকে পুনরায় নালিকা পথে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তাকে উন্মুক্ত সংবহনতন্ত্র বলে। অর্থাৎ এ সংবহনতন্ত্রে রক্ত সর্বদা রক্তবাহিকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না। চিংড়ি,পতঙ্গ, মলাস্কা প্রভৃতি প্রাণীর দেহে এ ধরনের সংবহনতন্ত্র দেখা যায়।
■ রুই মাছের রক্ত সংবহনতন্ত্র
প্রশ্ন-৪৩. ভেনাস হার্ট বলতে কী বোঝায়? (ঢ. বো. ১৯:য, বো. ১৯)
উত্তর: রুই মাছের হৃৎপিণ্ডে সর্বদা CO2 যুক্ত রক্ত প্রবাহমান থাকে। যুক্ত রক্ত কখনও হৃৎপিণ্ডে আসে না। হৃৎপিণ্ড থেকে CO2 যুক্ত রক্ত ফুলকায় পরিশোধিত হয়ে (), যুক্ত হয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। আবার দেহের বিভিন্ন অংশ হতে শিরার মাধ্যমে CO2. যুক্ত রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। এই কারণে রুই মাছের হৃৎপিণ্ডকে শিরা হৃৎপিণ্ড বা ভেনাস হার্ট বলা হয়।
প্রশ্ন-৪৪. পটকা কী?
উত্তর: রুই মাছের মেরুদণ্ডের নিচে ও পৌষ্টিকনালির উপরে অবস্থিত ও যোজক টিস্যুতে গঠিত পাতলা প্রাচীর বিশিষ্ট থলিটিই হলো পটকা। এটি প্রধানত ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। পানির নিচে বিভিন্ন গভীরতায় মাছের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে পটকা ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মাছের শ্বসন ও শব্দ তৈরির অঙ্গ হিসেবে এবং অক্সিজেনের আধার হিসেবেও এটি কাজ করে।
■ রুই মাছের শ্বসন
প্রশ্ন-৪৫. রুই মাছের বায়ুথলি গ্রাসনালির সাথে যুক্ত থাকে কেন?(সি. বো. ১৭)
উত্তর: : রুই মাছের বায়ুথলি গ্রাসনালির সাথে যুক্ত থাকে কারণ এর ফলে মুখের মাধ্যমে সহজেই বায়ুথলি বায়ু দ্বারা পূর্ণ এবং খালি হতে পারে। এই সংযোগের কারণে রুই মাছ সহজেই বায়ুথলিকে বায়ু পূর্ণ করে পানিতে ভাসতে পারে। এভাবে বায়ু গ্রহণ করে বায়ুথলির সাহায্যে মাছ পানিতে তার আপেক্ষিক গুরুত্ব বজায় রাখে।
প্রশ্ন-৪৬. ফাইসোস্টোমি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: গ্রাসনালি ও বায়ুথলির মধ্যে সংযোগকারী নালির উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে মাছকে দুটি দলে ভাগ করা হয়। দুটির একটি হলো ফাইসোস্টোমি। এদের বায়ুথলি ফাইসোসটোমাস ধরনের অর্থাৎ গ্রাসনালি ও বায়ুথলির মধ্যে সংযোগকারী নিউমেটিক নালি বিদ্যমান। উদাহরণ- রুই, কাতলা।
■ রুই মাছের প্রজনন ও জীবনচক্র
প্রশ্ন-৪৭. রুই মাছ স্থির পানিতে ডিম পাড়ে না কেন?
উত্তর: স্থির’ পানির তাপমাত্রা এবং অক্সিজেনের পরিমাণ মাছের ডিম পাড়া অনুপযোগী। স্রোতযুক্ত পানিতে প্রচুর অক্সিজেন থাকে, যা মাছের যৌন গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে ডিম পাড়তে সহায়তা করে। এছাড়া পরিস্ফুটনরত ভ্রূণ স্রোতময় পানি থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। একারণে, রুই মাছ স্থির পানিতে ডিম পাড়ে না।
■ রুই মাছের সংরক্ষণ
প্রশ্ন-৪৮. হ্যাচারি পোনা অপেক্ষা প্রাকৃতিক পোনার চাহিদা বেশি কেন?
উত্তর: হ্যাচারি পোনা অপেক্ষা প্রাকৃতিক পোনার চাহিদা বেশি। কারণ, হ্যাচারি পোনা কৃত্রিম উপায়ে কৃত্রিম পরিবেশে উৎপাদিত হয় বলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য উপযোগী না। পক্ষান্তরে, প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত পোনা প্রাকৃতিক উপায়ে বড় হয়, তাই এদের অভিযোজন ক্ষমতাও তুলনামূলক বেশি। এছাড়া হ্যাচারি পোনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাকৃতিক পোনার চেয়ে কম।
এই ২য় অধ্যায় প্রাণীর পরিচিতি (রুই মাছ) | রুই মাছ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | HSC ছাড়াও আরো জানতে ক্লিকঃ