অর্থানুসারে বাক্যের শ্রেণীবিভাগ : বিবৃতিমূলক বাক্য : যে বাক্যে সাধারণতভাবে কোন কিছু বর্ণনা করা হয়, তাকে বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। যেমন- পৃথিবী সূর্যের অন্যতম গ্রহ। লেখাপড়া না করলে বিদ্যার্জন সম্ভব নয়। বিবৃতিমূলক বাক্যকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়- ক) অস্তিবাচক বাক্য, খ) নেতিবাচক বাক্য।
ক. অস্তিবাচক বাক্য : বিবৃতিমূলক বাক্যের অর্থ যদি হ্যা-বোধক হয় তবে সেই বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্য বলে। অর্থাৎ নঞর্থক না হলেই বাক্যটি অস্তিবাচক।
উদাহরণ: ক. জামিল বাড়িতে আছে।
খ. নদীর ওপর সাঁকো ছিল।
গ. সূর্য পূর্ব দিকে উঠে।
ঘ. তাকে বেশ দয়ালু মনে হয়।
খ. নেতিবাচক বাক্য: বিবৃতিমূলক বাক্যের অর্থ না-বাচক হলে সেই বাক্যকে নেতিবাচক বাক্য বলে।
উদাহরণ: ক. জামিল বাড়িতে অনুপস্থিত নেই।
খ. নদীর ওপর সাঁকো ছিল না এমন নয়।
গ. সূর্য অন্যদিকে নয় পূর্বদিকে উঠে।
ঘ. তাকে নির্দয় মনে হয় না।
প্রশ্নবাচক বাক্য : যে বাক্যে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়, তাকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে।
উদাহরণ: ক.তুমি কি বাড়ি যাবে?
খ. আপনার নিবাস কোথায়?
গ. সে কি কাল আসবে?
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য : যে বাক্যে আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, নিষেধ, প্রার্থনার বোধ প্রকাশ পায় তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে।
উদাহরণ: ক.বাড়ি যাও।
খ. নিয়মিত স্কুলে যাবে।
গ. আমার জন্য একটা কলম এনে দিও।
ইচ্ছাবাচক বাক্য : যে বাক্যে কর্তার ইচ্ছে ব্যক্ত হয়, তাকে ইচ্ছাবাচক বাক্য বলে।
উদাহরণ: ক. আমার যদি এক লক্ষ টাকা থাকত।
খ. আমার ইচ্ছে সে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুক।
গ. বাংলাদেশ এশিয়াকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে।
বিস্ময়সূচক বাক্য : যে বাক্যে আবেগ, আনন্দ, উচ্ছ্বাস, উল্লাস, বিরক্তি, ভয়, ক্ষোভ ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে।
উদাহরণ: ক. আহ: কি সুন্দর দৃশ্য!
খ. অ্যাঁ: কি কা-টাই না করলে!
গ. সাব্বাস! আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।
প্রার্থনাবাচক বাক্য : যে বাক্যে প্রার্থনা, নিবেদন ইত্যাদি প্রকাশ পায় তাকে প্রার্থনাবাচক বাক্য বলে।
উদাহরণ: ক. সে দীর্ঘজীবী হোক।
খ. এদেশের বুকে সফলতা নেমে আসুক।
গ. প্রেসিডেন্ট দীর্ঘজীবী হোন।
এই বাক্য প্রকরণ ও বাক্যের বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আরো পড়ুন