অণুজীব জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স টি দেওয়া হয়েছে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য।
ভাইরাস
প্রশ্ন ১। ভাইরাস কী? (কু, বাে, ‘১৯; ঢা. বাে, ‘১৫; য, বাে, ‘১৬)
উত্তর : ভাইরাস হলাে নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রােটিন দিয়ে গঠিত অকোষীয়, অতি-আণুবীক্ষণিক সত্তা, বাধ্যতামূলক পরজীবী জৈবকণা যা জীবদেহের অভ্যন্তরে সক্রিয় হয়ে রােগ সৃষ্টি করে কিন্তু জীবদেহের বাইরে নিষ্ক্রিয় অবস্থা বিরাজ করে।
প্রশ্ন ২। ভিরিয়ন কী? [চ, বাে, ‘১৯; সি, বাে, ‘১৭, ঢা, বাে, ‘১৬]
উত্তর : নিউক্লিক এসিড ও একে ঘিরে অবস্থিত ক্যাপসিড সমন্বয়ে গঠিত এক, একটি সংক্রমণ, ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সম্পূর্ণ ভাইরাস কণাকে ভিরিয়ন বলে।
প্রশ্ন ৩। ক্যাপসিড কী? (ঢা, বাে, ‘১৭; কু. বাে, ‘১৫)
উত্তর : ক্যাপসিড হলাে ভাইরাস কণার বাইরের প্রােটিন আবরণ।
প্রশ্ন ৪। প্যাথোজেন কাকে বলে? [য, বাে, ‘১৭; ব, বাে, ‘১৭)
উত্তর : রােগ সৃষ্টিকারী অণুজীবকে প্যাথােজেন বলে। যেমন-ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫। ভিরয়েড কী?
উত্তর : ভিরয়েড হলাে সংক্রামক, এক সূত্রক, বৃত্তাকার RNA ।
প্রশ্ন ৬। প্রিয়ন কী?
উত্তর : প্রিয়ন, (Prion) হলাে এক প্রকার সংক্রামক সত্ত্বা যা শুধু প্রােটিন দিয়ে গঠিত
প্রশ্ন ৭। নিউক্লিওয়েড কী?
উত্তর : ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত কেন্দ্রীয় অংশই নিউক্লিয়েড।
প্রশ্ন ৮। নিউক্লিয়ােক্যাপসিড কী?
উত্তর : নিউক্লিয়ােক্যাপসিড হলাে সংক্রমণ ক্ষমতাবিহীন ভাইরাস।
ভাইরাসের গুরুত্ব
প্রশ্ন ৯। HIV কী?
উত্তর : HIV (Human immunodeficiency virus) হলাে ঘাতকব্যাধী এইডস এর জন্য দায়ী ভাইরাস।
প্রশ্ন ১০। ট্রান্সমিশন কী? [চ, বাে, ‘১৬]
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ বিভিন্ন মাধ্যমের (যেমন— বায়ু, পানি,হাঁচি-কাশি, বীজ, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি) সহায়তায় ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়াকে ট্রান্সমিশন বলে।
প্রশ্ন ১১। ইমার্জিং ভাইরাস কী?
উত্তর : আদি পােষক থেকে পরে নতুন পােষকে রােগ সৃষ্টিকারী ঐ ভাইরাসকে ইমার্জিং ভাইরাস বলে। যেমন- HIV, SARS, Ebola ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১২। সায়ানােফায কাকে বলে?
উত্তর : সায়ানােব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ভাইরাসকে সায়ানােফায বলে। যেমন— LPP1 ; LPP2 ।
প্রশ্ন ১৩। COVID-19-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : COVID-19-এর পূর্ণরূপ হলাে- Corona Virus Disease-19.
প্রশ্ন ১৪। কোয়ারেন্টাইন কী?
উত্তর : কোয়ারেন্টাইন হলাে নিজেকে একটি ঘরে সম্পূর্ণরূপে আবদ্ধ করে রাখা। এ সময় কারাে সাথে দেখা সাক্ষাৎ, মেলামেশা না করা।
ব্যাকটেরিওফায (T2 ফায) এর জীবন চক্র
প্রশ্ন ১৫। ব্যাকটেরিওফা কী? (য, বাে, ‘১৯, চ, বাে, ‘১৬)
উত্তর : যেসব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে ব্যাকটেরিয়ার দেহাভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সেগুলােই হলাে ব্যাকটেরিওফায় ।
প্রশ্ন ১৬। লাইটিক চক্র কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় ফায় ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া কোষে প্রবেশ করে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় ও ব্যাক্টেরিয়া কোষকে বিদারণ বা লাইসিস ঘটায় তাই লাইটিক চক্র।
প্রশ্ন ১৭। লাইসােজেনিক চক্র কী?
উত্তর : কিছু ব্যাক্টেরিওফায ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস না করে সংখ্যা বৃদ্ধির চক্র সম্পন্ন করে এরূপ চক্রই লাইসােজেনিক চক্র।
জীববিজ্ঞান ১ম পত্রঃ অণুজীব জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স
ভাইরাসজনিত রােগ : হেপাটাইটিস ও ডেঙ্গু
প্রশ্ন ১৮। ডেঙ্গু রােগের জীবাণুর নাম কী? [কু, বাে, ‘১৬]
উত্তর : ডেঙ্গু রােগের জীবাণুর নাম Flavi virus.
প্রশ্ন ১৯। জণ্ডিস কী?
উত্তর : ভাইরাস হেপাটাইটিস জণ্ডিসের অন্যতম প্রধান কারণ।যকৃতের রক্তে ট্রান্স অ্যামাইলেজ পরিমাপের মাধ্যমে এ রােগ শনাক্ত করা যায়।
ব্যাকটেরিয়া
প্রশ্ন ২০। ব্যাকটেরিয়া কী? [য, বাে, ‘১৫]
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া হলাে জড় কোষপ্রাচীর বিশিষ্ট এককোষী আদিকেন্দ্রিক অণুজীব ।
প্রশ্ন ২১। ইকলিপস কাল কী?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া কোষকে আক্রমণ করার পর থেকে নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কালই হলাে ইকলিপস কাল।
বায়োলজি অণুজীব জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স
ব্যাকটেরিয়া কোষের গঠন
প্রশ্ন ২২। প্লাজমিড কী? [ঢা, বাে, ‘১৭; চ. বাে, ‘১৭; রা. বাে, ‘১৬]
উত্তর : ক্রোমােজোম বহির্ভূত বৃত্তাকার DNA অণুই হচ্ছে প্লাজমিড ।
প্রশ্ন ২৩। মেরােজাইগােট কী?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়ার দুটি বিপরীত কোষের (পুং ও স্ত্রী) মধ্যে মিলনের ফলে যে জাইগােট সৃষ্টি হয়, তাকে মেরােজাইগােট বলে।
প্রশ্ন ২৪। বটুলিজম কী? (চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ, চট্টগ্রাম)
উত্তর : Clostridium botulinum নামক ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে Botulin নামক বিষাক্ত পদার্থ সৃষ্টি করে। এর বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এরূপ বিষক্রিয়াকে বটুলিজম বলে।
প্রশ্ন ২৫। কলেরা জীবাণুর বৈজ্ঞানিক নাম লিখ ।ঢা, বাে, ‘১৭
উত্তর : কলেরা রােগের জীবাণুর বৈজ্ঞানিক নাম- Vibrio cholerae.
ম্যালেরিয়া জীবাণু
প্রশ্ন ২৬। ম্যালেরিয়া কী? (রা, বাে, ‘১৯; সি. বাে, ‘১৫)
উত্তর : Plasmodium নামক প্রােটোজোয়ান অণুজীব দ্বারা বিভিন্ন মেরুদন্ডী প্রাণীতে যে রােগ হয় তাকে ম্যালেরিয়া বলে।
প্রশ্ন ২৭। সুপ্তাবস্থা কী? [ব, বাে, ‘১৯]
উত্তর : কোনাে রােগের জীবাণু পােষক দেহে প্রবেশ করার পর থেকে রােগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত সময় কালকে, সুপ্তাবস্থা বলে। যেমন- P. vivax এর সুপ্তাবস্থা ১২-২০ দিন।
প্রশ্ন ২৮। ম্যালেরিয়া রােগের জীবাণুর নাম লিখ।[সি, বাে, ‘১৬]
উত্তর : ম্যালেরিয়া রােগের জীবাণুর নাম Plasmodium vivax.
প্রশ্ন ২৯। জনুক্রম কী? [ব, বাে, ‘১৬; কু, বাে, ‘১৫]
উত্তর : কোনাে জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশার পর্যায়ক্রমিক আবর্তনই জনুক্রম।
প্রশ্ন ৩০। পাইরােজেন কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া জীবাণু আক্রমণের পর রক্তরসে মেরােজয়েট ছড়িয়ে পড়লে তাকে প্রতিহত করতে শ্বেত রক্তকণিকা প্রচুর পরিমাণে যে রাসায়নিক পদার্থ ক্ষরণ করে তাকে পাইরােজেন বলে।
প্রশ্ন ৩১। ভেক্টর কী?
উত্তর : যে প্রাণী কোনাে পরজীবীকে এক পােষক থেকে অন্য পােষকের দেহে বহন করে নিয়ে যায়, তাকে ভেক্টর বা বাহক বলে।
প্রশ্ন ৩২। গ্যামিটোগনি কাকে বলে?
উত্তর : মশকীর ক্রুপের অভ্যন্তরে গ্যামিট সৃষ্টির মাধ্যমে ম্যালেরিয়া জীবাণুর যৌন জননকে গ্যামিটোগনি বলে ।
প্রশ্ন ৩৩। সাইজন্ট কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া পরজীবীর বহুনিউক্লিয়াস বিশিষ্ট অবস্থাকে সাইজন্ট বলে।
প্রশ্ন ৩৪। সিগনেট রিং কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া পরজীবীর পাথর বসানাে আংটির মত গঠনই হলাে সিগনেট রিং।
এই অণুজীব জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স ছাড়াও নিচে ক্লিকঃ