অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ অপরিচিতা এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।
সাজেশন
আরো পড়ুনঃ
সর্বশেষ বোর্ডে আসা প্রশ্ন সাজেশন
প্রশ্ন ১। “একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুক-ভাঙা পণ”— এই কথার অর্থ বুঝিয়ে দাও।
প্রশ্ন ২। “মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই গুরুতর” – উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
৩। “এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি।”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ৪। বলিলেন, “সে কী কথা। লগ্ন” প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বুঝিয়ে দাও।
প্রশ্ন ৫। তারপর বুঝিলাম, মাতৃভূমি আছে।’- বুঝিয়ে লেখ।
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
প্রশ্ন ৬। ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’— উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ৭। অনুপমের বিবাহ যাত্রার বর্ণনা দাও।
৮। “কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি”— বক্তার এমন অনুভূতির কারণ বুঝিয়ে লেখ।
প্রশ্ন ৯। অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?
প্রশ্ন ১০। অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়েবাড়িতে এনেছিল কেন?
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
প্রশ্ন ১১। “আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই।”— বাক্যটির তাৎপর্য কী?
প্রশ্ন ১২। “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই”— উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে?
১৩। “ভালো-মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নেই”— ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১৪। ‘কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করিবেন আমি সৎপাত্র- কেন?
প্রশ্ন ১৫। কল্যাণীর ‘মাতৃআজ্ঞা’র ধরন আলোচনা কর।
শীর্ষস্থানীয় কলেজসমূহের প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১৬। বাবাজি, একবার এই দিকে আসতে হচ্ছে— কে, কাকে বলেছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাবাজি, একবার এই দিকে আসতে হচ্ছে— এ কথাটি কল্যাণীর পিতা শম্ভুনাথ সেন বর অনুপমকে বলেছেন।‘অপরিচিতা’ গল্পে কনের পিতা শম্ভুনাথ সেনকে বরের মামা পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে বিবাহের কাজ শুরুর আগে কনের সমস্ত গহনা যাচাই করে দেখার প্রস্তাব করেন। এতে বর অনুপমের মতামত কী তা জানতে শম্ভুনাথ সেন অনুপমকে প্রশ্নোক্ত বাক্য সম্বোধন করে তাকে সেখানে যেতে বলেন। তিনি অনুপমকে তার মামার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তার মতামত জানতে চান।
প্রশ্ন ১৭। “মামা দুই চোখ এত বড়ো করিয়া মেলিয়া অবাক হইয়া রহিলেন।”— প্রাসঙ্গিকতা বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : শম্ভুনাথ সেন মেয়েকে পাত্রস্থ করতে না চাওয়ায় অনুপমের মামা বিস্ফারিত চোখে অবাক হয়ে রইলেন। মামা কনের গয়না যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর বর অনুপমও এ ব্যাপারে নিশ্চিত চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন এ ধরনের হীনমানসিকতার লোকের সঙ্গে আত্মীয়তা করবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচাই করে দেখানোর পর বলেন যে, সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা তার নেই। আর এ কথা শুনে মামা দুই চোখ বড় করে মেলে অবাক হয়ে রইলেন।
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
প্রশ্ন ১৮। ‘জায়গা আছে’ কথাটির তাৎপর্য বর্ণনা কর।
উত্তর : প্রশ্নোক্ত কথাটির মধ্যে অনুপম কল্যাণীকে জীবনসাথি করতে না পারলেও তার হৃদয়ে স্থান পাওয়ার প্রত্যাশা ও আত্মজিজ্ঞাসার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। মাকে নিয়ে তীর্থে যাওয়ার সময় অনুপম একটি মেয়েকণ্ঠ শুনে মুগ্ধ হয়। মেয়েটি তার সঙ্গীদের বলে, “শিগগির চলে আয়, এই গাড়িতে জায়গা আছে।” তারপর থেকে ‘জায়গা আছে কথাটি অনুপমের কানে বারবার বাজতে থাকে।
সে সেই কথা ও কণ্ঠ মনে করে রোমাঞ্চিত হতে থাকে। অবশেষে জানতে পারে এ-ই সেই মেয়ে যার সঙ্গে তার বিয়ে হতে গিয়েও ভেঙে গেছে। তারপরও অনুপম আশা ছাড়ে না। বিয়ের আশা সে করে না, কিন্তু কল্যাণীর মনে জায়গা পাওয়ার আশা তার তীব্র। বছরের পর বছর সেই জায়গা আছে’ কথাটি আঁকড়ে ধরে কল্যাণীর ওখানে পড়ে রয়েছে। সুবিধামতো তার কাজ করে তার মন জয় করার চেষ্টা করেছে। আর এসব করতে পেরে তার মনে হয় সে জায়গা পেয়েছে।
প্রশ্ন ১৯। ‘দেখি মেয়ের বিয়ে দেন কেমন করিয়া’— কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর : দেখি মেয়ের বিয়ে দেন কেমন করিয়া’— কথাটি রাগ করে অনুপমের মামা বলেন।বিয়ের আসরে কল্যাণীর গায়ের গহনা খুলে অনুপমের মামা প্রসকরা দিয়ে পরীক্ষা করালে শম্ভুনাথ সেন ভীষণ অপমানিত বোধ করেন। অনুপমের মামার এ আচরণে ক্ষুণ্ন হয়ে তিনি কৌশলে তাদের খাইয়ে দেন, তারপর বিয়ে ভেঙে দেন।
গাড়ি ডেকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চান। কল্যাণীর পিতার ওপর অনুপমের বাড়ির সবাই রেগে যায়। অনুপমের মামা রাগে-ক্ষোভে জানান- শম্ভুনাথ সেন কীভাবে মেয়ের বিয়ে দেন এটা তিনি দেখে নেবেন। মূলত প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে শম্ভুনাথ সেনের প্রতি অনুপমের মামার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন ২০। ‘এইটি একবার পরখ করিয়া দেখ।’ কী এবং কেন পরখ করে দেখতে বলা হয়েছে?
উত্তর : একজোড়া এয়ারিং সেকরার হাতে দিয়ে তা খাঁটি সোনার কনা পরখ করে দেখতে বলেছেন শম্ভুনাথ সেন আলোচ্য উক্তির মধ্য দিয়ে। অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের সাথে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা কল্যাণীর বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু অনুপমের মামার চরম যৌতুকলোভী মানসিকতার প্রকাশ ঘটে বিয়ের আসরে। যৌতুকের গহনা কল্যাণীর শরীর থেকে খুলে পরীক্ষা করান অনুপমের মামা। তখন শম্ভুনাথ সেন এক জোড়া এয়ারিং এগিয়ে দেন সেকরার হাতে তা পরখ করে দেখার জন্য। কেননা সেটা ছিল অনুপমের মামার দেওয়া বিলাতি জিনিস, যাতে সোনার ভাগ সামান্য।
প্রশ্ন ২১। “আমাকে একটি কথা বলাও তিনি আবশ্যক বোধ করিলেন না।”— উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : কল্যাণীর পিতা অনুপমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুপমকে একবার জানানোরও প্রসাজিমেন্টবাঞ্চলস্করেজনির) উক্তিটির মাধ্যমে অনুপম এ কথাটিই বোঝাতে চেয়েছে। অনুপমের মামা ছিলেন তাদের পরিবারের কর্তা। বিয়ের আসরে তিনি কনের গা থেকে গয়না খুলে সেকরাকে দিয়ে পরীক্ষা করান। কনের পিতা শম্ভুনাথ সেন অনুপমের কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেও কোনো সদুত্তর পাননি।
তাই বরপক্ষকে জানিয়ে দেন তিনি অনুপমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। শম্ভুনাথ সেনের যা কথা হয় সব অনুপমের মামার সঙ্গে। তিনি অনুপমকে গুরুত্বহীন বিবেচনা করে তার সঙ্গে কোনো কথাই বলেন না। অনুপম তাই নিজের গুরুত্বহীনতার কথা অনুভব করে উক্তিটি করে।
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
প্রশ্ন ২২। ‘ফল্গুর বালির মতো তিনি আমাদের সমস্ত সংসারটাকে নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন’— ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রশ্নোক্ত কথাটি অনুপম তার মামাকে উদ্দেশ করে বলেছে। কারণ মাত্র ছয় বছরের বড় হলেও মামাই ছিলেন তাদের পরিবারের ভাল-মন্দের প্রধান নির্ধারক। অনুপমের মামা ছিলেন তার প্রধান অভিভাবক। এমনকি অনুপমের বিয়ের ব্যাপারেও তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্তরূপে গ্রহণ করা হয়। প্রশ্নোক্ত কথাটিতে অনুপম তার মামার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও ব্যক্তিমানসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছে। তিনি যা কিছু ভাবেন তা অনুপমের মঙ্গলের জন্যই ভাবেন। তিনি তার ভাগ্যদেবতা। অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার ক্ষেত্রে তার মামার ভূমিকাই মুখ্য।
প্রশ্ন ২৩। “আমি তো চমকিয়া উঠিলাম”- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ‘আমি তো চমকিয়া উঠিলাম’ বলতে গাড়িতে ওঠার জন্য কল্যাণীর আহ্বানে অনুপমের চমকে ওঠাকে বোঝানো হয়েছে। অনুপম মাকে নিয়ে তীর্থে যাওয়ার পথে অপরিচিত এক মেয়ের কণ্ঠস্বর শুনে মুগ্ধ হয়। অনুপম মেয়েটিকে দেখার চেষ্টা করে কিন্তু দেখতে পায় না। বাঙালি সেই মেয়ের কণ্ঠস্বর অনুপমের হৃদয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরদিন বড় স্টেশনে গাড়ি বদল করার সময় একটি মেয়ে তাদের গাড়িতে ওঠার জন্য আহ্বান করে। তখন ঐ মেয়েটির কণ্ঠস্বর শুনে অনুপম চমকে ওঠে। কারণ এটি তার পূর্বে শোনা সেই কণ্ঠস্বর।
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
প্রশ্ন ২৪। “কিন্তু মেয়ের বিয়ে হইবেনা এই ভয় যার মনে নাই তার শাস্তির উপায় কী?
উত্তর : এখানে শম্ভুনাথ সেনের আত্মসম্মানবোধ ও গৌরববোধকে বড় করে দেখানো হয়েছে।মেয়ের গহনা সেকরাকে দিয়ে পরখ করায় ভীষণ অপমানিত বোধ করেন বাবা শম্ভুনাথ সেন। তিনি মেয়েদের বিয়ে ভেঙে দেন। বরযাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়ায় অনুপমের মামা রেগে যান।কীভাবে শম্ভুনাথ তার মেয়েকে বিয়ে দেন তা দেখে নিবেন বলে হুমকি দেন। কিন্তু তার সেই কথায় মেয়েকে বিয়ে দিতেই হবে বা হবে না এ ভাবনা শম্ভুনাথ বাবুর মনে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে না। তাই তাকে সহজে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রশ্ন ২৫। সুধা কণ্ঠধারী মেয়েটির পরিচয় কী?
উত্তর : সুধা কণ্ঠধারী মেয়েটির নাম কল্যাণী । মায়ের সঙ্গে অনুপমের তীর্থে যাওয়ার পথে যে চঞ্চল তরুণী দুটি- তিনটি ছোট ছোট মেয়েকে নিয়ে সেই গাড়িতে উঠেছিল তার নাম কল্যাণী। তার পিতা ডাক্তার শম্ভুনাথ সেন। কল্যাণীর কণ্ঠস্বর লালিত্য মাখা। প্রাণচঞ্চল কল্যাণী অনায়াসেই ছোটদের সঙ্গে মিশতে পারে। সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রণ করেছে।
বিশ্লেষিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ২৬। গায়ে হলুদে কন্যাপক্ষকে নাকাল করা হয় কীভাবে?
উত্তর : মাত্রাতিরিক্ত লোকজন বা বাহক পাঠিয়ে কন্যাপক্ষের ওপর বোঝা চাপিয়ে অনুপমের মামা ও মা কন্যাপক্ষকে নাকাল করার বন্দোবস্ত করেন। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান অসম্ভব রকম ধুমধাম করে হয়েছিল। কন্যার বাড়িতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বাহক পাঠানো হয়েছিল। এত লোককে আপ্যায়ন করাতে হলে কন্যাপক্ষকে যে নাকাল হতে হবে তা ভেবেই অনুপমের মা ও মামা অনুরূপ রসিকতা করেছেন।
প্রশ্ন ২৭। গল্পটির নাম ‘অপরিচিতা’ রাখা হয়েছে কেন?
উত্তর : গল্পের নায়িকা কল্যাণী নায়ক অনুপমের কাছে শেষ পর্যন্ত অপরিচিত থাকায় গল্পটির নাম ‘অপরিচিতা’ রাখা হয়েছে। অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বিয়ের কথা চলাকালে অনুপম মনের মধ্যে কল্যাণীর একটি ছবি ধারণ করেছে, স্বপ্ন সাজিয়েছে। অথচ সারাজীবনের জন্য তাকে পাওয়া হয় না, জানা হয়ে ওঠে না।কল্যাণী অনুপমের কাছে অপরিচিতা হিসেবেই থেকে যায়। যে কারণে এ গল্পের নামকরণ করা হয় ‘অপরিচিতা’।
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
প্রশ্ন ২৮। অনুপমকে পণ্ডিতমশায় বিদ্রুপ করতেন কেন?
উত্তর : অনুপমকে পণ্ডিতমশায়ে বিদ্রূপ করতেন সুন্দর চেহারা অথচ গুণহীনতার কারণে।ছোটবেলায় অনুপমের চেহারা অত্যন্ত সুন্দর ছিল। অথচ সে পড়াশোনায় সন্তোষজনক পারদর্শিতা প্রদর্শন করতে পারত না। অন্যদিকে শিমুল ফুল সুবাস ছড়ায় না, সুন্দর দেখায়; আর মাকাল ফল বাইরে দেখতে সুন্দর অথচ ভেতরে দুর্গন্ধ ও শাঁসযুক্ত হওয়ায় খাওয়ার যোগ্য নয়। তাই পণ্ডিত মশায় তাকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করতেন।
প্রশ্ন ২৯। মা অনুপমকে কেমন করে মানুষ করেছেন?
উত্তর : মা অনুপমকে মাতৃস্নেহে ও অর্থপ্রাচুর্যে অতি যত্নে মানুষ করেছেন। মা গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন বলে অনুপমকে কখনো ভুলতে দিতেন না যে তারা ধনী। সে প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্যে বেড়ে উঠছিল। শিশুকালে কোলে কোলেই সে বড় হয়েছে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত তার পুরোপুরি জ্ঞানবুদ্ধিজাত বয়সই হয়ে ওঠেনি।
প্রশ্ন ৩০। ‘মৃত্যুতে তিনি যে হাঁফ ছাড়িলেন সেই তাঁর প্রথম অবকাশ’— কথাটি কার সম্পর্কে বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপমের বাবার সম্পর্কে উক্তিটি করা হয়েছে। অনুপমের বাবা এককালে গরিব ছিলেন। পরে ওকালতি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করেন। তবে তা ভোগ করার সময় পাননি। এ কেননা তিনি খুব ব্যস্ত সময় কাটাতেন। তাই মৃত্যুর মধ্য দিয়েই তাঁর অবকাশ যাত্রা শুরু হয়।
এই অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন